শুরুর দুই ম্যাচে নিজের মান অনুযায়ী খেলতে পারেননি তামিম ইকবাল। ভালোভাবে ইনিংস শুরুর পর থেমেছেন অল্পতে। গুলশানের বিপক্ষে ২২ ও রূপগঞ্জ টাইগার্সের বিপক্ষে ১৪ রান করেছিলেন। বড় রানের খোঁজে থাকা মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের অধিনায়ক তামিম তৃতীয় রাউন্ডে অপেক্ষা ফুরালেন। গতকাল রোববার পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে ঝলমলে ১২৫ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন। তাতে দুই বছর পর ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে সেঞ্চুরির অপেক্ষাও দূর করেছেন। তার সেঞ্চুরিতে অনায়াসে জিতেছে মোহামেডান। বিকেএসপিতে আগে ব্যাটিং করতে নেমে পারটেক্স ২১৮ রানে গুটিয়ে যায়। জবাবে মোহামেডান ৭ উইকেট হাতে রেখে ৪০.২ ওভারে লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলে।
১১২ বলে ১১ চার ও ৫ ছক্কায় ১২৫ রান করেন তামিম। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে এটি তার ২৩তম সেঞ্চুরি। গত বছর ঢাকা লিগে প্রাইম ব্যাংকের হয়ে ১৬ ম্যাচ খেলেছিলেন। ৬ ফিফটি পেলেও সেঞ্চুরি ছিল না কোনো। লিগে তার সবশেষ সেঞ্চুরি ছিল প্রাইম ব্যাংকের হয়ে মোহামেডানের বিপক্ষে ২০২৩ সালে। ফতুল্লায় ১০৯ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়েছিলেন। আজও খেললেন তেমনই এক ইনিংস। ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে কোনো ঝুঁকি ছাড়াই অনায়াসে ব্যাটিংয়ে তিন অঙ্কের দেখা পেয়েছেন। দলকেও জিতিয়েছেন। তার সঙ্গে রান পেয়েছেন তাওহীদ হৃদয় ও মুশফিকুর রহিম। তাওহীদ ৩৭ ও মুশফিক ৩৫ রান করেন। এর আগে পারটেক্সের ইনিংসে লাগাম টেনে ধরেন তাইজুল ইসলাম ও নাসুম আহমেদ। তাইজুল ৯.৩ ওভারে ৫০ রানে ৪ উইকেট নেন। নাসুম ৩২ রানে পেয়েছেন ৩ উইকেট। ২ উইকেট পকেটে পুরেন মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন।
পারটেক্সের হয়ে ব্যাট হাতে সর্বোচ্চ ৭৮ রান করেন আহরার আমিন। ৮৬ বলে ৬ চার ও ৩ ছক্কায় ৭৮ রান আসে তার ব্যাট থেকে। এছাড়া জাওয়াদ মোহাম্মদ ৪২, জয়রাজ শেখ ৩৮ রান করেন। লিগে এটি মোহামেডানের তিন ম্যাচে দ্বিতীয় জয়। পারটেক্সের তৃতীয় ম্যাচে দ্বিতীয় পরাজয়।