ক্রীড়াঙ্গন সংস্কারের লক্ষ্যে একটি সার্চ কমিটি করেছিল যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। সেই কমিটিকে আগামী ২০ এপ্রিলের মধ্যে কার্য পরিধি মোতাবেক অবশিষ্ট ফেডারেশন ও অ্যসোসিয়েশন অ্যাডহক কমিটি গঠন সম্পন্নকরণসহ প্রয়োজনীয় সংস্কার প্রস্তাব পেশের জন্য বলা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার সার্চ কমিটির আহ্বায়ক জোবায়েদুর রহমান রানা বরাবর এই সংক্রান্ত চিঠি দেন ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মোহাম্মদ কাবিরুল ইসলাম খান। ২৯ আগস্ট যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ৫ সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করে। দুই মাসের মধ্যে সার্চ কমিটিকে ক্রীড়াঙ্গনে প্রয়োজনীয় সংস্কার প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশনা ছিল। ১ অক্টোবর পুনগর্ঠিত কমিটিতে অবশ্য সুনির্দিষ্ট সময়সীমা ছিল না। পুনগর্ঠিত কমিটির সময় অদ্যবধি পাঁচ মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো অনেক ফেডারেশন ও অ্যাসোসিয়েশনের অ্যাডহক কমিটি গঠন হয়নি।
ফেডারেশন ও অ্যাসোসিয়েশনের জন্য সরকারি বরাদ্দ থাকে। যেটা নির্দিষ্ট অর্থ বছরের (জুলাই-জুন) মধ্যে ব্যয় করতে হয় অন্যথায় অর্থ সরকারি কোষাগারে ফেরত যায়। পূর্ণাঙ্গ/অ্যাডহক কমিটি না থাকায় অনেক ফেডারেশন বা অ্যাসোসিয়েশনকে বরাদ্দ ছাড়করণ হচ্ছে না। এতে ফেডারেশনগুলো স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে এবং ক্রীড়াঙ্গনে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। এই বিষয়টি ক্রীড়াঙ্গনে বেশ কয়েক মাস ধরে আলোচনা হলেও অভিভাবক সংস্থা ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের এটি অনুধাবন হয়েছে সম্প্রতি। ১৪ নভেম্বর প্রথম দফায় নয়টি এরপর ২৮ জানুয়ারি সাতটি ও গত পরশু পাচটি ফেডারেশনের অ্যাডহক কমিটি গঠন হয়েছে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের অধিভুক্ত ফেডারেশন/অ্যাসোসিয়েশনের সংখ্যা ৫৫ এর মধ্যে মাত্র ২১ টি ফেডারেশনের নতুন কমিটি হয়েছে। দেশের দুই শীর্ষ খেলা ক্রিকেট বোর্ডে সভাপতি ও পরিচালক পদে রদবদল আর ফুটবল ফেডারেশনের পূর্ণাঙ্গ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ফলে ৩২ ফেডারেশন/অ্যাসোসিয়েশন এখনো পুর্নগঠন হয়নি। সার্চ কমিটি ফেডারেশন/অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকাণ্ড পর্যালোচনা, সংশ্লিষ্টদের মতাতম ও আগ্রহের ভিত্তিতে অ্যাডহক কমিটির প্রস্তাবনা/সুপারিশ করে।
ক্রীড়া মন্ত্রণালয়/ক্রীড়া পরিষদ সেটা আরেক দফা যাচাই-বাছাই করে অনুমোদন করে।