হামজা দেওয়ান চৌধুরীর পর বর্তমানে বাংলাদেশের ফুটবল অঙ্গনে আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছেন সামিত সোম। এরইমধ্যে তার জন্মনিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে। কানাডা প্রবাসী এই ফুটবলারের জন্মনিবন্ধনের পর পাসপোর্ট তৈরির প্রক্রিয়া চলছে। কানাডায় বাংলাদেশি কনস্যুলেটে পাসপোর্টের আবেদনও করেছেন তিনি। এরই মধ্যে পাসপোর্ট হওয়ার আগে সামিতের কানাডার অনাপত্তিপত্র পেয়ে গেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। এখন লাল সবুজ দলের হয়ে খেলার অপেক্ষায় এই মিডফিল্ডার। কানাডায় বাংলাদেশি কনস্যুলেট অফিসে পাসপোর্ট আবেদনের সময় সামিত কথা বলেছেন কানাডা প্রবাসী সাংবাদিক আবু সাদাতের সঙ্গে। কানাডার হয়ে দুই ম্যাচ খেললেও হঠাৎ বাংলাদেশের পক্ষে খেলার কারণ জানতে চাওয়া হয়েছিল তার কাছে। সামিত জবাবে বলেছেন হামজা চৌধুরীকে দেখে অনুপ্রাণিত হওয়ার কথা।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা হামজা যদি ইংল্যান্ডের বদলে বাংলাদেশের হয়ে খেলতে পারেন, তাহলে সামিত কেন নেয়? সেই কথাই বললেন সামিত সোম, ‘কিছু জিনিস দেখেছি যে, বাংলাদেশের খেলা আগের চেয়ে অনেক উন্নত হয়েছে। হামজা চৌধুরীও এখন তাদের হয়ে খেলছে, সে যেতে পারলে আমি কেন যেতে পারব না। সে অনেক বড় খেলোয়াড়।’ বাংলাদেশের হয়ে খেলছেন প্রবাসী আরও কয়েকজন ফুটবলার। তাদের সঙ্গে যোগাযোগের কথাও বললেন সামিত, ‘বাংলাদেশ দলে থাকা ফুটবলার তারিক কাজী, জামাল ভূঁইয়া, কাজেম শাহ, সায়েদ ওদেরকে আগে থেকে জানি। সে কারণে আমারও আগ্রহ ছিল। সবসময় অপেক্ষা করছিলাম, ভেবেছি যে ঠিক সময়ে খেলব।’
১০ জুন সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে সামিতকে খেলানোর জোড় প্রচেষ্টা চালাচ্ছে বাফুফে। সেটা সম্ভব হবে শুধু ফিফার অনুমোদনের পর। ফিফার অনুমতি পেতে চার মাস অপেক্ষা করতে হয়েছিল হামজাকে।