ঢাকা শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

হোয়াইটওয়াশ এড়াল নিউজিল্যান্ড

নাসুমের ঝলক সত্ত্বেও হারল বাংলাদেশ

নাসুমের ঝলক সত্ত্বেও হারল বাংলাদেশ

প্রথম দুই ম্যাচে দাপুটে জয়ে আগেই সিরিজ নিশ্চিত করেছিল বাংলাদেশ ‘এ’ দল। অপেক্ষা ছিল হোয়াইটওয়ায়েশের। কিন্তু তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে নিজেদের সেরাটা দিতে পারলেন না সোহান, আফিফ, নাঈম, মোসাদ্দেকরা। তবে জ্বলে উঠলেন নাসুম আহমেদ। যার মূল কাজটা বল হাতে। ব্যাটিংয়েও তাই তিনি নামেন পরের দিকে। গতকাল শনিবারও ৮ নম্বরেই খেলতে নেমেছিলেন। কিন্তু লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে আগে কখনও ৫০ পেরোতে না পারা নাসুম এদিন তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি। ৬৭ রান করে হয়ে গেছেন দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক। তবে অন্যরা সুবিধা করতে না পারায় বাংলাদেশ ‘এ’ অলআউট হয় ২২৭ রানে। ২২৮ রানের লক্ষ্যে ১০ বল বাকি থাকতে ছুঁয়ে ফেলে কিউইরা। ফলে হোয়াইটওয়াশ এড়িয়ে সান্ত¡নার জয় পায় সফরকারীরা। সিরিজ শেষ হয় ২-১ ব্যবধানে।

তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম দুটি জিতে ট্রফি আগেই নিশ্চিত করেছিল নুরুল হাসান সোহানের নেতৃত্বাধীন দল। শেষ ম্যাচে সফরকারীদের হোয়াইটওয়াশ করার সুযোগ কাজে লাগাতে পারলেন না তারা। মাঝারি পুঁজি নিয়ে বাংলাদেশকে লড়াইয়ে রাখেন স্পিনাররা। কিউইদের ৬ উইকেট নেন তিন স্পিনার নাসুম, মোসাদ্দেক হোসেন ও নাঈম হাসান। তিন জনের ঝুলিতেই জমা পড়ে ২টি করে উইকেট। এর আগে ব্যাট হাতে ক্যারিয়ারসেরা ইনিংসে ৬৭ রান করেন নাসুম।

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ফিল্ডিংয়ে নেমে সকালের সুবিধা ভালোভাবে কাজে লাগান কিউই পেসাররা। প্রথম ওভারে স্লিপে ক্যাচ দেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ। দুই ওভার পর উইকেটের পেছনে ধরা পড়েন এনামুল হক। সিরিজে প্রথম সুযোগ পাওয়া সাইফ হাসান ইতিবাচক শুরু করলেও ইনিংস টেনে নিতে ব্যর্থ হন। বড় শটের খোঁজে মিড উইকেটে ক্যাচ আউট হন তিনি। ৬ চারে ২৫ বলে করেন ৩১ রান। এরপর আফিফ হোসেন, সোহান ও মোসাদ্দেকও হতাশ করলে মাত্র ১০৪ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। নাসুমকে নিয়ে প্রতিরোধের চেষ্টা করেন চার নম্বরে নামা ইয়াসির আলি চৌধুরি। তবে তিনিও বেশি দূর যেতে পারেননি। দেড়শর আগেই ড্রেসিং রুমে ফেরেন তিনি। একাদশে সুযোগ পাওয়ার ম্যাচে ৭ চার ও ৩ ছক্কায় ৬৫ বলে তার সংগ্রহ ৬৩ রান।

পরে বাকি দায়িত্ব নিয়ে নেন নাসুম। শেষ উইকেটে ইবাদত হোসেনের সঙ্গে গড়ে তোলেন ৪৭ রানের জুটি। ৭৮ বলে লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি পূর্ণ করেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। এরপর মারেন নিজের একমাত্র ছক্কা। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে ফেরার আগে ৯৬ বলের ইনিংসে ৯ চারের সঙ্গে ১টি ছক্কা মারেন নাসুম। তার এই চেষ্টাও অবশ্য যথেষ্ট হয়নি। রান তাড়ায় সফরকারীদের কেউই চল্লিশ ছুঁতে পারেননি। তবে পাঁচ ব্যাটসম্যানের পঁচিশছোঁয়া ইনিংসে ম্যাচ জিততে সমস্যা হয়নি তাদের।

ইতিবাচক ব্যাটিংয়ে ঝড়ো শুরু করেন দুই ওপেনার রিস মারিউ ও ডেল ফিলিপ্স। পাওয়ার প্লে শেষে নিউ জিল্যান্ডের স্কোর দাঁড়ায় ৭০ রান। দ্বাদশ ওভারে জুটি ভাঙেন নাসুম। ৩৩ বলে ৩৩ রান করেন মারিউ। পরে ৪৬ বলে ৩৪ রান করা ফিলিপ্সকে বোল্ড করেন নাঈম। নিক কেলি, জো কার্টাররাও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। পরপর দুই ওভারে মোহাম্মদ আব্বাস ও কার্টিস হিফিকে ফিরিয়ে জয়ের সম্ভাবনা জাগান নাঈম ও মোসাদ্দেক। তবে সপ্তম উইকেটে জুটি বেধে সব আশা শেষ করেন ডিন ফক্সক্রফট ও জ্যাক ফোকস। অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ৬৫ রান যোগ করে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন তারা। ফক্সক্রফট ৩৬ ও ফোকস ২৮ রান করেন। এক দিনের সিরিজ শেষে এবার চার দিনের সিরিজে মুখোমুখি হবে দুই দল। সিলেটের মূল মাঠে আগামী বুধবার শুরু প্রথম ম্যাচ।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত