অপেক্ষার প্রহর প্রায় শেষ। প্রথমবারের মতো পেশাদার ফুটবল লিগ জয়ের দ্বারপ্রান্তে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। চট্টগ্রাম আবাহনীকে উড়িয়ে দিয়ে শিরোপার সুবাস পেতে শুরু করেছে ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি। অধরা ট্রফি উঠতে যাচ্ছে সাদাকালোদের ঘরে। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের শীর্ষ দল মোহামেডানের সঙ্গে তলানিতে থাকা চট্টগ্রাম আবাহনীর লড়াইয়ে জয়টা অনুমিতই ছিল। গতকাল শুক্রবার কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ স্টেডিয়ামে চট্টগ্রাম আবাহনীকে ৪-১ গোলে হারিয়েছে মোহামেডান। এই জয়ে ১৫ ম্যাচে ৩৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষ স্থানে মোহামেডান। যদিও লিগে তাদের বাকি রয়েছে আরও তিনটি ম্যাচ। এক ম্যাচ কম খেলে আপাতত ১০ পয়েন্ট পেছনে থেকে টেবিলে দ্বিতীয় স্থানে আবাহনী।
সব কিছু ঠিক থাকলে হয়তো মোহামেডানের হাতে দেখা যাবে শিরোপা। এই ম্যাচে পুরোটা সময় আধিপত্য বজায় রেখে খেলেছে মোহামেডান। সোলেমান দিয়াবাতের গোলে এগিয়ে যায় মোহামেডান। বিরতির ঠিক আগে ইম্যানুয়েল সানডের গোলে ব্যবধান হয় দ্বিগুণ। মোজাফফর মোজাফফরভ ব্যবধান আরও বাড়ানোর পর সানডে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন। চট্টগ্রাম আবাহনীর একমাত্র গোল সুমন হোসেনের। সোলেমান দিয়াবাতে মোহামেডানের জয়ে বড় ভূমিকা রেখেছেন। চট্টগ্রাম আবাহনী ২৯ মিনিট পর্যন্ত আটকে রাখে মোহামেডানকে। বাঁ দিক থেকে এদুয়ার্দ মোরিওর ক্রসে মোহাম্মদ নাঈমকে নিখুঁত টোকায় হারিয়ে দিয়াবাতে গোল করেন। চলতি লিগে দশম গোল দিয়াবাতের। বিরতির আগে বক্সের বেশ বাইরে থেকে সানডের জোরালো শট গোলরক্ষক নাঈম বুঝে ওঠার আগেই জড়িয়ে যায় জালে। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে মোজাফফরভের গতিময় শট গোলকিপারের গ্লাভসে লেগে জাল কাঁপায়।
৪৬তম ৩-০ গোলে এগিয়ে যায় মোহামেডান। ৬০তম মিনিটে নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড সানডের দ্বিতীয় গোলে বড় জয় সুনিশ্চিত করে শিরোপা প্রত্যাশী দল। ৭৪তম মিনিটে সুমন গোল করলেও অসহায় আত্মসমর্পণ করে চট্টগ্রাম আবাহনী। ১৫ ম্যাচে ১৪ হার ও এক জয়ে ৩ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তলানিতে থেকে অবনমনের শঙ্কায় তারা। একই দিনে গাজীপুরের শহিদ বরকত স্টেডিয়ামে ব্রাদার্স ইউনিয়ন ৪-১ গোলে হারিয়েছে ফকিরেরপুলকে। ১৫ মিনিটে গোল হজম করে পিছিয়ে পড়লেও চার গোল দিয়েছে পরে। ম্যাচের শেষ ৩৩ মিনিট ১০ জনের দল হয়েও তিন পয়েন্ট পেয়েছে ব্রাদার্স। ১৫ ম্যাচে ২৩ পয়েন্ট নিয়ে চারে উঠেছে তারা। আর ১৬ পয়েন্ট নিয়ে আটে ইয়ংমেন্স ফকিরেরপুল।
