ঢাকা রোববার, ০৬ জুলাই ২০২৫, ২২ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

আখের রস বিক্রি করে চলে রাশিদের সংসার

আখের রস বিক্রি করে চলে রাশিদের সংসার

পাবনার ঈশ্বরদীর সাঁড়া ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের রাশিদ মিয়ার জীবিকার উৎস এখন আখের রস। একসময় ধানচালের মিলে ভারী বস্তা টানার শ্রমিক ছিলেন তিনি। তবে চার বছর আগে হৃদরোগ ধরা পড়ার পর চিকিৎসকের পরামর্শে ভারী কাজ ছেড়ে হালকা পেশা বেছে নিতে বাধ্য হন। তখনই আত্মীয়-স্বজনদের কাছ থেকে কিছু টাকা ধার করে নাটোরের বনপাড়া থেকে আখ এনে শুরু করেন আখের রস বিক্রি।

প্রথমে পা-চালিত ভ্যান ও হাত মেশিনে আখের রস বিক্রি শুরু করলেও পরে পুরাতন ব্যাটারি চালিত ভ্যান ও মাড়াই যন্ত্র কিনে মোবাইল দোকানে রূপ নেন রাশিদ। এখন ঈশ্বরদী শহরের ওভারব্রিজের পশ্চিম পাশে, আরামবাড়িয়া বাজার এবং ভাদুর বটতলায় প্রতিদিন আখের রস বিক্রি করেন তিনি।

রাশিদের আখের রসের গ্লাস এখন ১৫ টাকা, বরফসহ ২০ টাকা। প্রতিদিন ১ থেকে ৩ মন পর্যন্ত আখ মাড়াই করে ৮০০ থেকে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত আয় হয় তার। তিনি জানান, গরমের দিনে বিক্রি বাড়ে। বর্তমানে বগুড়া থেকে ৮০০ টাকা মন দরে গান্ডারী জাতের আখ কিনে প্রতিমনে ১২০০ টাকার মতো রস বিক্রি করেন তিনি। খরচ বাদে লাভ হয় গড়ে ৪০০ টাকা।

রাশিদের বড় ছেলে মাহির একটি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করছে এবং মেয়ে খাদিজা স্থানীয় স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে। আগে যেখানে সংসারের খরচ চালাতে হিমশিম খেতে হতো, এখন নিয়মিত আয়ের ফলে পরিবারে স্বস্তি ফিরেছে। তিনি বলেন, "আল্লাহর রহমতে এখন ভালো আছি। এই ছোট ব্যবসাই আমাদের বাঁচিয়ে রেখেছে।"

ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শাহেদুল ইসলাম বলেন, “আখের রস ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, আয়রন ও ম্যাগনেসিয়ামের ভালো উৎস। এটি শরীরের জন্য শক্তির প্রধান জ্বালানি হিসেবে কাজ করে, বিশেষ করে গরমে ক্লান্তি দূর করতে দারুণ কার্যকর।”

সংসার,রাশিদ,আখের রস
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত