তিন পার্বত্য জেলা পরিষদে জনবল নিয়োগ এবং শিক্ষাবৃত্তি বিতরণে জাতিগত বৈষম্যের অভিযোগ তুলে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ, রাঙামাটি জেলা শাখা।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) সকাল ১১টায় রাঙামাটি শহরের একটি স্থানীয় রেস্তোরাঁয় আয়োজিত এই সাংবাদিক সম্মেলনে চলমান স্বাস্থ্য বিভাগের নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিলের দাবি জানানো হয়।
বক্তারা বলেন, পার্বত্য জেলা পরিষদগুলোতে দীর্ঘদিন ধরে উপজাতি প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দিয়ে জনবল নিয়োগ ও বৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে। এতে বৃহত্তর বাঙালি জনগোষ্ঠী ও অন্যান্য ক্ষুদ্র নৃ সম্প্রদায়ের যোগ্য প্রার্থীরা ন্যায্য সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নাগরিক পরিষদের রাঙামাটি জেলা শাখার সভাপতি মোহাম্মদ সোলায়মান। তিনি বলেন, “২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দেশে নতুন যুগের সূচনা হলেও পার্বত্য জেলা পরিষদগুলো এখনো পূর্বের বৈষম্যমূলক নিয়োগনীতি অনুসরণ করছে। গত ২৩ জুলাই সরকার প্রজ্ঞাপন জারি করে সকল নিয়োগে মেধা ও সংরক্ষিত কোটা অনুসরণ করার নির্দেশ দিলেও তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ তা মানছে না।”
তিনি আরও বলেন, “বর্তমান অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের অধীনেও উপজাতীয়দের অগ্রাধিকার দিয়ে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে, যা সাংবিধানিক ন্যায়বিচার পরিপন্থি। বৃহত্তর জনগোষ্ঠী ও অন্যান্য সম্প্রদায়ের প্রার্থীদের প্রতি এটি এক ধরনের পরিকল্পিত বৈষম্য।”
মোহাম্মদ সোলায়মান হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “আগামী ৩০ জুনের মধ্যে চলমান নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে জনসংখ্যা অনুপাতে নিয়োগ ও বৃত্তি বণ্টনের নীতিমালা কার্যকর না হলে নাগরিক পরিষদ কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবে।”
সাংবাদিক সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন নাগরিক পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা আবু বকর সিদ্দিক, সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আজম, মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোরশেদা আক্তারসহ সংগঠনের অন্যান্য জেলা নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা।