ঢাকা বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫, ২৫ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

বিদেশি আঙুর ও মিশ্র ফল বাগানে স্বপ্ন বুনছেন রাজবাড়ীর জিল্লুর রহমান

বিদেশি আঙুর ও মিশ্র ফল বাগানে স্বপ্ন বুনছেন রাজবাড়ীর জিল্লুর রহমান

বিদেশি জাতের আঙুর, কমলা ও মালটার সফল চাষ করে স্বপ্ন বুনছেন রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার যশাই ইউনিয়নের ভেল্লাবাড়িয়া গ্রামের উদ্যোক্তা মো. জিল্লুর রহমান। মাত্র এক বছরের চেষ্টায় সঠিক পরিচর্যার মাধ্যমে গাছে ফল ধরায় আশাবাদী তিনি। তার বাগানে এখন শোভা পাচ্ছে রংবেরঙের আঙুর, মালটা ও কমলার গুচ্ছ।

জানা গেছে, ২০২৩ সালের শেষ দিকে রাজবাড়ী সদরের সফল ফলচাষি সরোয়ার হোসেন বাবুর বাগান দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে জিল্লুর রহমান নিজ উদ্যোগে প্রায় ৫ বিঘা জমিতে মিশ্র ফলের বাগান শুরু করেন। তার মধ্যে ৩ বিঘায় দার্জিলিং, মেন্ডারিন ও চায়না জাতের কমলা, ১ বিঘায় ভিয়েতনামি মালটা এবং ১৬ শতাংশ জমিতে রাশিয়া ও ইটালির পাঁচ জাতের আঙুর চাষ করেছেন। প্রতিদিনই এই ফল বাগান দেখতে ভিড় করছেন বিভিন্ন স্থান থেকে আগত দর্শনার্থী ও নতুন উদ্যোক্তারা।

বাগানের পরিচর্যাকারী হাতেম আলী বলেন, “ঝোপায় ঝোপায় ফল ধরেছে দেখে গর্ব হয়। প্রতিদিন মানুষ আসছে বাগান দেখতে।”

প্রতিবেশী আকমল হোসেন মিয়া ও দর্শনার্থী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “দেশে উৎপাদিত বিদেশি জাতের এই ফল দেখে আমরা মুগ্ধ। সরকারি সহায়তা পেলে এমন বাগান আরও ছড়িয়ে পড়বে, ফলে বিদেশি ফল আমদানির প্রয়োজন কমবে।”

রাজবাড়ীর প্রথম সফল বিদেশি ফলচাষি সরোয়ার হোসেন বাবু বলেন, “আমার দেওয়া চারায় জিল্লুর ভাইয়ের বাগানে ফলন আরও ভালো হয়েছে। এভাবে সবাই চাষ শুরু করলে আমদানি নির্ভরতা কমবে।”

জিল্লুর রহমান বলেন, “প্রায় ৬০০টি কমলা, ৫০টি মালটা এবং কয়েকশ আঙুর গাছে এখন ফল ধরেছে। আমি চাচ্ছি বিষমুক্ত ফল দিয়ে মানুষের আস্থা অর্জন করতে।”

রাজবাড়ী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা গোলাম রাসূল বলেন, “মিশ্র ফল বাগান চাষিদের জন্য লাভজনক। তবে আঙুর শীতপ্রধান দেশের ফল হওয়ায় কিছুটা সীমাবদ্ধতা রয়েছে। সময়মতো হারভেস্ট করলে কমলা ও মালটার মান ভালো হয়।”

বিদেশি আঙুর,মিশ্র ফল বাগান
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত