
দীর্ঘ ৩৫ বছর পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান অনুষদ অডিটোরিয়ামে বিকেল ৩টায় তফসিল ঘোষণা করা হয়। এরই মধ্যে চাকসু নির্বাচনের সব প্রস্তুতি সেরেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
সর্বশেষ নির্বাচন হয়েছিল ১৯৯০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি। এর আগে ১৯৭০ সালে অনুষ্ঠিত হয় প্রথম কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন। প্রতিবছর চাকসু নির্বাচন আয়োজনের বিধান থাকলেও ৯০ সালের নির্বাচনের পর ছাত্র সংগঠনগুলোর মুখোমুখি অবস্থান, কয়েক দফা সংঘর্ষের কারণে পরবর্তী কোনো প্রশাসনই নির্বাচন আয়োজনের সাহস করেনি। ফলে কার্যত অচল হয়ে পড়ে চাকসু। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর চবি ক্যাম্পাসে ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনগুলো চাকসু নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করে আসছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে চাকসু নির্বাচনের অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনার পর চাকসু গঠনতন্ত্র সংশোধেন উদ্যোগ নেয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৫৯তম সিন্ডিকেট সভায় চাকসুর সংশোধিত গঠনতন্ত্র অনুমোদন করা হয়। এতে নিয়মিত শিক্ষার্থী হিসেবে ভোটার ও প্রার্থীর সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩০ বছর রাখা হয়। এছাড়া সংসদের মেয়াদকাল এক বছর ও কার্যনির্বাহী কমিটি ২৮ সদস্যের করা হয়।
চাকসু নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান অধ্যাপক ড. মনির উদ্দিন জানান, চাকসু ভবনের দোতলায় আমরা নির্বাচন কমিশনের কার্যালয় স্থাপন করেছি। বিকেলে চাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছি। দীর্ঘদিন পর একটা নির্বাচন হতে যাচ্ছে আশা করছি উৎসবমুখর ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন হবে।
এদিকে চাকসু নির্বাচন সামনে রেখে সক্রিয় ছাত্র সংগঠনগুলো। তফসিল ঘোষণার আগের দিন বুধবার পাল্টাপাল্টি মিছিল করেছে শিবির ও ছাত্রদল। তবে সবকিছু ছাপিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আগ্রহ ও উচ্ছ্বাস চোখে পড়ার মতো। নিজেদের অধিকার আদায়ে চাকসু নির্বাচনকে খুবই গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন তারা।