ইরান-ইসরায়েলের মধ্যে চলমান সংঘাত ক্রমেই উদ্বেগজনক রূপ নিচ্ছে। এতে এখন সরাসরি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে তেহরানে অবস্থিত বাংলাদেশের দূতাবাস।
বাংলাদেশ সরকারের কাছে পাঠানো তেহরান মিশনের এক গোপন রিপোর্টে এ তথ্য উঠে এসেছে। ওই রিপোর্টে জানানো হয়েছে, দূতাবাস চ্যান্সারি কমপ্লেক্সের কাছাকাছি অন্তত দুটি সংবেদনশীল স্থাপনা রয়েছে, যার একটি হলো ইরানের একটি পরমাণু গবেষণা কেন্দ্র। অন্যটি একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্যপ্রযুক্তি (আইটি) স্থাপনা।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, এই দুটি স্থাপনাই ইসরায়েলি হামলার লক্ষ্যবস্তু। ফলে এসব স্থাপনার এত কাছে অবস্থান করায় বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তা, স্টাফ, তাদের পরিবার এবং আশপাশে বসবাসকারী কূটনৈতিক ব্যক্তিরা গুরুতর ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন।
বর্তমানে তেহরানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত, দুজন কূটনৈতিক কর্মকর্তা, পাঁচজন কর্মচারী এবং তাদের পরিবারের সদস্যসহ প্রায় ৪০ জন রয়েছেন।
এছাড়া রেডিও তেহরানে কর্মরত ৮ জন বাংলাদেশি এবং তাদের পরিবারসহ আরও ২৭ জন অবস্থান করছেন। শহরটিতে আরও ১০ থেকে ১২ জন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী এবং ১০ জনের মতো পেশাজীবী রয়েছেন।
এছাড়া ইরানে অবৈধভাবে থাকা আরও প্রায় ৮০০ বাংলাদেশি বিভিন্ন সেক্টরে কর্মরত রয়েছেন। মানব পাচারের ট্রানজিট রুট হিসেবে ব্যবহার হওয়ায় ইরানে আরও ৩০০ থেকে ৫০০ বাংলাদেশি অবস্থান করেন, যারা অন্য দেশে যাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন।
গত ১৩ জুন ২৮ জন বাংলাদেশির দেশে ফেরার কথা ছিল। কিন্তু যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে বিমান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তারা তেহরানেই আটকে পড়েছেন।
মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, প্রথম অগ্রাধিকার হচ্ছে নিরাপত্তা। তেহরানে অবস্থান ঝুঁকিপূর্ণ হলে সেখান থেকে সরে যাওয়াই হবে যৌক্তিক পদক্ষেপ।
আবা/এসআর/২৫