পারমাণবিক ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বৈঠকের কোনো পরিকল্পনা ইরানের নেই বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি।
সম্প্রতি ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন তিনি।
আরাঘচি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আগামী সপ্তাহে কোনো বৈঠকের পরিকল্পনা নেই তেহরানের।’
তিনি বলেন, ‘ওয়াশিংটন তেহরানে ওপর ইসরায়েলি আক্রমণকে সমর্থন করেছিল এবং শেষ পর্যন্ত ইরানের পারমাণবিক স্থাপনার ওপর তারা বিমান হামলা চালিয়েছিল, যদিও ইরান আমেরিকার সঙ্গে আলোচনায় জড়িত ছিল।’
তিনি আরও জানান, পূর্বের ৫ দফা আলোচনাই ব্যর্থ হয়েছে। পারমাণবিক স্থাপনায় ব্যাপক ক্ষতির পর এখন পরিস্থিতি নতুন করে বিশ্লেষণ করে কূটনৈতিক পথ নির্ধারণ করবে ইরান।
আরাঘচি আরও বলেন, ‘আলোচনার সময় যুক্তরাষ্ট্র কূটনীতির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। এই অভিজ্ঞতা পরমাণু আলোচনার বিষয়ে ইরানকে ভবিষ্যতের সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করবে।’
ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তবুও কূটনীতি অব্যাহত রয়েছে এবং আমি বেশ কয়েকজন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করছি।’
এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, আগামী সপ্তাহেই ইরানের সঙ্গে আলোচনা হতে যাচ্ছে। তবে তিনি বলেন, ইরানের সব পরমাণু কেন্দ্র ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় চুক্তির বিষয়টি এখন আর মূখ্য নয়। ট্রাম্পের দাবি, মার্কিন বিমান হামলার পর ইসরায়েলি গুপ্তচররা ইরানের ফোরদো পারমাণবিক কেন্দ্রে গিয়ে দেখেছে স্থাপনাটি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়েছে।
অন্যদিকে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র কিছুই অর্জন করতে পারেনি, বরং ইরানের ওপর হামলা চালিয়ে মুখ রক্ষা করতে চেয়েছে। শুধু তাই নয়, আমেরিকার মুখে ইরান কঠিন থাপ্পড় মেরেছে বলেও দাবি করেন তিনি।