দীর্ঘ ছয় মাস ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পড়ে থাকার পর ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে জুলাই বিপ্লবে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে পুলিশের গুলিতে নিহত হাসান (২০) নামের এক যুবকের পরিচয় মিলেছে। সে গুলিস্তানে কাপ্তানবাজার এলাকায় একটি দোকানের কর্মচারী ছিল।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গ থেকে তার মরদেহটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
যাত্রাবাড়ি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মোরশেদ আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত ১০ জানুয়ারি ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে হাসানসহ অভ্যুত্থানে নিহত ছয়জনের মরদেহের খোঁজ পাওয়া যায়। পরদিন আরও একজনের মরদেহের খোঁজ মেলে।
হাসানের বাবা মনির হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, আমার ছেলে গুলিস্তান কাপ্তানবাজার এলাকার একটি দোকানে কাজ করতো। গত ৫ আগস্টের পর থেকে আমার ছেলের কোনো খবর পাইনি। আমরা ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের কাছ থেকে জানতে পারি, লাশগুলো ঢাকা মেডিকেলের মর্গে রয়েছে। পরে জানুয়ারি মাসের ১ তারিখ ঢাকা মেডিকেলের মর্গে এসে আমার ছেলের লাশ শনাক্ত করি। আমার এবং আমার স্ত্রী গোলেনুর বেগমের ডিএনএ দিয়ে গেলে এক মাস একদিন পরে তারা আমাদের দেয়। আজ আমরা মর্গে আসি আমার ছেলের মরদেহ নেওয়ার জন্য।
তিনি জানান, মরদেহ তাদের কাছে হস্তান্তর করা হলেও আগামীকাল শুক্রবার জুমার নামাজের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল মসজিদে হাসানের জানাজা হবে।
আবা/এসআর/২৫