সম্প্রতি ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে ‘তৌহিদী জনতা’ লেখার কারণে দুঃখ প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ভোরে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে দুঃখপ্রকাশ করেন তিনি।
তিনি লিখেন, আমার কোনো কোনো বক্তব্য হয়ত কারও কারও মনে কষ্ট দিয়েছে, বিশেষ করে তৌহিদী জনতা বলাটা। আপনারা যারা আমার বক্তব্যের কারণে নারাজ-নাখোশ হয়েছেন, আমি আপনাদের কাছে আন্তরিকভাবে দুঃখপ্রকাশ করছি।
তিনি আরও লিখেন, এছাড়া গত কয়েক মাসে অন্য কোনো বক্তব্যে কেউ আঘাত পেলে বা সেটাকে বিভাজনমূলক ভাবলে, সে ক্ষেত্রেও আমি আমার বক্তব্য পুনর্বিবেচনার পক্ষে। ভারসাম্যপূর্ণ, বিভাজন ও ট্যাগিংবিরোধী অবস্থান গ্রহণ করাটা জনগণের মধ্যকার ঐক্যের জন্য জরুরি। আমরা জালিম বা মজলুম কোনোটাই হতে চাই না।
উপদেষ্টা মাহফুজ লিখেন, আমাদের মধ্যবর্তী অবস্থান ধরে রাখতে হবে। সবাইকে নিয়ে এগোতে হবে, কিন্তু ‘স্যাবোটিয়ার’দের বাদ দিয়ে। পেছন থেকে ছুরি মারা, অনার কোড না মানার অভ্যাস-এসব যে কোনো বন্দোবস্তের জন্য হুমকিস্বরূপ। রাজনীতি মানে Gentlemen’s Agreement ও থাকবে না এটা যারা ভাবেন, তারা নিজেদের শুধরে নিন।
স্ট্যাটাসে তিনি আরও লিখেন, আমাদের শত্রু অগণিত এবং তারা সবাই শক্তিধর। মিত্র খুবই কম। একটু ছাড় দিয়ে যদি আমরা মিত্রতা বাড়াতে পারি এবং শত্রুদের পরাস্ত করতে পারি তা আখেরে এ দেশের জনগণকেই উপকৃত করবে। গণ-অভ্যুত্থানের সব শক্তির ঐক্যই আমাদের গন্তব্য। একটা হিস্টরিক ব্লক তৈরির সম্ভাবনা আমাদের সামনে ছিল। এখনো আছে বটে। ফ্যাসিবাদবিরোধী ও বাংলাদেশপন্থি জনগোষ্ঠীকে নিজেদের মধ্যেই রাজনৈতিকভাবে ইতিবাচক প্রতিযোগিতা করতে হবে। কোনোভাবেই ফ্যাসিবাদী শক্তিকে রাজনীতিতে স্পেইস দেওয়া যাবে না।