ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জাপান সফরে নির্বাচন বিষয়ে দেওয়া বক্তব্যে হতাশা প্রকাশ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, দেশের বর্তমান রাজনৈতিক সংকট মূলত নির্বাচন নিয়েই তৈরি হয়েছে, আর এ প্রেক্ষাপটে প্রধান উপদেষ্টার বিভ্রান্তিকর বক্তব্য অনাকাঙ্ক্ষিত।
রোববার (১ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবে জিয়াউর রহমানের শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মোশাররফ হোসেন দাবি করেন, 'আমরা বিশ্বাস করে ড. ইউনূসকে ক্ষমতায় বসিয়েছি, কিন্তু তিনি জাপানে গিয়ে বলেছেন, শুধু বিএনপিই নাকি নির্বাচন চায়—এই বক্তব্য আমাদের হতাশ করেছে।'
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন ডিসেম্বরের মধ্যে হলে অন্তর্বর্তী সরকার সসম্মানে বিদায় নিতে পারবে। বিলম্ব হলে সরকারের পক্ষ থেকে ষড়যন্ত্রের আশঙ্কা রয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। সরকারের কয়েকজন দায়িত্বশীল ব্যক্তিও নাকি গোপনে স্বীকার করেছেন, সময়মতো নির্বাচন হলে বিএনপি বিপুল ভোটে জয়ী হবে।
বক্তব্যে তিনি আরও দাবি করেন, ৭২ থেকে ৭৫ পর্যন্ত যারা ক্ষমতায় ছিলেন, তারা বাকশাল কায়েম করে গণতন্ত্র হত্যা করেছিলেন এবং রক্ষীবাহিনী দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারসহ স্বাধীনতাকামী মানুষদের দমন করেছিলেন। জিয়াউর রহমান সে সময়ে এসে সেনাবাহিনীকে পুনর্গঠন করেন, বাকশাল বাতিল করেন এবং গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনেন—যা তাকে একজন সফল রাষ্ট্রনায়কে পরিণত করেছিল।
মোশাররফ বলেন, জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর অনেকে ভেবেছিল বিএনপি আর থাকবে না। কিন্তু খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে দল টিকে গেছে। আওয়ামী লীগ সরকার গত ১৬ বছর ধরে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন চালালেও দলকে দমন করতে পারেনি।
তিনি জানান, বিএনপি সংস্কারের পক্ষপাতী। অন্তর্বর্তী সরকারের আগেই তারেক রহমান ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছেন। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে সেগুলো বাস্তবায়ন করা হবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি। এ ছাড়া আগামীকাল থেকে শুরু হওয়া জাতীয় ঐকমত্য বিষয়ক আলোচনায় বিএনপি অংশ নেবে বলেও জানান তিনি।