বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ইচ্ছাকৃতভাবে যুক্তরাজ্যের রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করছেন এবং ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিকের সুনাম ক্ষুণ্ণ করতে অপপ্রচার চালাচ্ছেন-এমন অভিযোগ তুলেছে টিউলিপের আইনজীবীরা। এ অভিযোগ তুলে সম্প্রতি একটি আইনি চিঠি পাঠানো হয়েছে, যার খবর প্রকাশ করেছে স্কাই নিউজ।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ড. ইউনূস ও দুদক যে অভিযোগ ও মন্তব্য করছেন, তা একেবারেই বেআইনি, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং তদন্ত প্রক্রিয়াকে প্রভাবিতকারী। একইসঙ্গে অভিযোগ করা হয়, গণমাধ্যমে ইউনূসের বক্তব্য, টিউলিপের চিঠির জবাব না দেওয়া এবং যুক্তরাজ্যে সফরের সময় তার সঙ্গে সাক্ষাৎ প্রত্যাখ্যান-সবকিছুই একটি ন্যায্য ও আইনি তদন্ত প্রক্রিয়ার পরিপন্থী।
আইনজীবীরা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, আগামী ৩০ জুনের মধ্যে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ চিঠির জবাব না দিলে বিষয়টি বন্ধ বলে ধরে নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে টিউলিপ সিদ্দিক স্কাই নিউজকে বলেন, 'আমি তাদের নোংরা রাজনীতির ফাঁদে পা দেব না। আমাকে নির্বাচিত করেছে আমার এলাকার মানুষ-তাদের সেবা করাই আমার দায়িত্ব। কেউ আমাকে সেই পথ থেকে সরাতে পারবে না। তারা যে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার চেষ্টা করছে, তা বন্ধ করতে হবে।'
অন্যদিকে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, 'যুক্তরাজ্যের রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করার কোনো প্রয়োজন বা ইচ্ছা বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের নেই।'
দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মোমেনও দাবি করেন, টিউলিপের বিরুদ্ধে মামলাটি রাজনৈতিক নয় বরং সুনির্দিষ্ট তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, 'চিঠি চালাচালির মাধ্যমে এই মামলা নিষ্পত্তি হবে না, বিষয়টি আদালতেই মোকাবিলা করতে হবে।'
এই পাল্টাপাল্টি অবস্থান স্পষ্ট করেছে, টিউলিপের মামলা এখন শুধু আইনি নয়, আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক বিতর্কেও পরিণত হয়েছে।