ঢাকা সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫, ১৩ শ্রাবণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

বাঁশখালীতে গড়ে উঠেছে দৃষ্টিনন্দন আমানা পার্ক

বাঁশখালীতে গড়ে উঠেছে দৃষ্টিনন্দন আমানা পার্ক

চট্টগ্রামের বাঁশখালী পৌরসভায় নির্মল পরিবেশে নজরকাড়া সৌন্দর্যের এলাকায় গড়ে উঠেছে দৃষ্টিনন্দন ‘আমানা পার্ক’। অল্প সময়ের ব্যবধানে পার্কটি উপজেলার দর্শনীয় একটি স্থান হিসেবে পরিচিত পেয়েছে। যদিও পুরো রূপলাভ করতে পারেনি। তবে ধীরে ধীরে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। বিভিন্ন ফল-ফুল, গাছ-পালার বাগান। দুপাশে গুল্ম জাতীয় গাছ রোপণের মাধ্যমে হাঁটার জন্য মনোমুগ্ধকর পথ করা হয়েছে। ব্যক্তিমালিকানাধীন এই পাহাড়ের উঁচু নিচু এলাকা জুড়ে বসানো হয়েছে ছোট ছোট বেঞ্চ। ছড়িয়ে ছিটিয়ে স্থাপন করা হয়েছে রঙিন টিনের ছোট ছোট গোলাকৃতি ঘর।

নিরিবিল পরিবেশ, সুসজ্জিত পার্ক, সবুজের সমারোহ, হরেক রকম ফলদণ্ডবনজ গাছ, নানা রকম ফুলের গাছ সঙ্গে কৃত্রিমতার অপূর্ব সমন্বয়-বাঘ, সিংহ, জেব্রাসহ বেশকয়েকটি প্রাণির ভাস্কর্য; পর্যটকদের বসার জন্য ১৫-২০টি বৈঠকখানা, ছাতা, পিকনিক স্পট মিলিয়ে অনন্য একটি পার্ক। বাঁশখালী পৌরসভা ৫নং ওয়ার্ডের স্থানীয় মো. মুমিনুল ইসলাম নামে এক প্রকৃতি প্রেমি ব্যক্তি তার ব্যক্তিগত মালিকানাধীন জায়গায় নিজ অর্থায়নে এই পার্কটি গড়ে তুলেছে। প্রতিদিন প্রকৃতি প্রেমি লোকজনের সমাগম ঘটে এ পার্কে। এতেই তার মনে প্রশান্তি।

জানা যায়, একান্ত ব্যক্তিগত উদ্যোগে গড়ে উঠা পার্কটি তার বাপ-দাদার পৈত্রিকসূত্রে প্রাপ্ত আরএসবিএস খতিয়ানভূক্ত প্রায় ২০ কানি জায়গায় জুড়ে প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে গড়ে তুলেন এ বিনোদন স্পট। যে কেউ মুগ্ধ হয় এখানে এসে। পার্কে ঘুরতে আসা জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, পার্কের পাশেই আমাদের সরল গ্রাম। এখানে আমার ছেলে আত্মীয় স্বজনরা মিলে ঘুরতে এসেছি। ভালোই লাগছে। বাড়ির পাশে পার্ক। এতো অল্প সময়ে ভারি সুন্দর হয়েছে। পার্কে বেড়াতে আসা জলদী এলাকার শাকিব, সরল এলাকার জিসান, বৈলছড়ী এলাকার মো. মামুন, সাজ্জাদ ও আরফাত মমিনসহ একাধিক ব্যক্তি বলেন, বিনোদনের ভালো জায়গা ভালো পরিবেশ হয়েছে পার্কটিতে। অবসরে পরিবার পরিজন নিয়ে ঘুরতে গিয়ে মন ভালো হয়ে যায়।

পৌরসভার বাসিন্দা মো. নোমান বলেন, পৌরসভায় ভালো একটি বিনোদনের জায়গা ছিল না। পার্কটি অল্প দিনে বেশ সুন্দর, দৃষ্টিনন্দন বিনোদনের কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠেছে। প্রতিদিনই বাড়ছে বিনোদনপ্রেমীদের ভিড়। তবে এখন পর্যন্ত ভালো পরিবেশ বজায় রয়েছে। যাতায়াতের রাস্তাটি হয়ে গেলে এটি একটি সুনামধন্য পার্কে রুপান্তরিত হবে। পার্কটি স্থাপনের কারণে বাঁশখালীতে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে মানুষের মধ্যে। পার্কের মালিক মুমিনুল ইসলাম বলেন, আমাদের খতিয়ানভুক্ত জায়গায় নিজ অর্থায়নে আমার মায়ের নামে ‘আমানা পার্ক’ হিসেবে নামকরণ করেছি। পার্কটি পুরোপুরি গড়ার লক্ষ্যে শুরু থেকে এখন পর্যন্ত নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। এতেই কিছু কুচক্রী মহল আমার বিরুদ্ধে লেগে পড়েছে। এই জায়গাটি আমাদের বাপ-দাদার খতিয়ান ভুক্ত জায়গা। আমি আমার নিজ অর্থায়নে কেবলমাত্র ষাট ভাগ কাজ সম্পূর্ণ করেছি। আশা করছি বাকি চল্লিশ ভাগ কাজ আগামী দুই তিন মাসের মধ্যে শেষ হবে। এবং বিনোদন পার্ক স্থাপন করার জন্য যা যা অনুমতি বা সরকারি নিয়ম রয়েছে তা খুব দ্রুত সময়ে ব্যবস্থা করে নেব। বাঁশখালী পৌরসভা মিয়ার বাজারের পূর্বে দিকে সোজা সিন্নি পুকুর পাড়ের পূর্বে দুব্বার ঝুম এলাকায় এ আমানা পার্কের অবস্থান।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত