ঢাকা সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫, ১৩ শ্রাবণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

খাগড়াছড়িতে বিদেশি ফল রাম্বুটানের বাণিজ্যিক চাষ বাড়ছে

খাগড়াছড়িতে বিদেশি ফল রাম্বুটানের বাণিজ্যিক চাষ বাড়ছে

খাগড়াছড়িতে পাহাড়ি জমিতে বাণিজ্যিকভাবে রাম্বুটান চাষ বাড়ছে। এই বিদেশি ফলটি পুষ্টিগুণ ও ঔষধি গুণে সমৃদ্ধ হওয়ায় আগ্রহী হচ্ছেন শৌখিন উদ্যোক্তারা। অনুকূল জলবায়ু ও উর্বর মাটির কারণে এরইমধ্যে সফল হয়েছেন কয়েকজন চাষি। তবে বাজারজাতকরণে জটিলতা ও মূল্য নিয়ন্ত্রণে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। মহালছড়ি উপজেলার বিহারটিলা গ্রামের চিকিৎসক আকেইপ্রু চৌধুরী ২০২২ সালের জানুয়ারিতে আড়াই একর টিলা জমিতে ২০০টি রাম্বুটানের চারা রোপণ করেন। বর্তমানে তার বাগানে রয়েছে পাঁচটি দেশের সাতটি প্রজাতির রাম্বুটান গাছ। বাগানে ফল আসা শুরু হলে আরও ১০ একর জমিতে রোপণ করেন আরও এক হাজার চারা। আকেইপ্রু চৌধুরী বলেন, ‘আমি রাসায়নিক সার বা কীটনাশক ব্যবহার করি না। প্রাকৃতিক উপায়ে পরিচর্যা করি বলে খরচও কম পড়ে।

তিনি আরও বলেন, ‘রাম্বুটান শুধু সুস্বাদু নয়, এর ঔষধি গুণ অনেক। এটি রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। চলতি মৌসুমে ফলন বেড়েছে। প্রতিদিন তার বাগানে আসছেন অনেক দর্শনার্থী। তবে চাষি ও উদ্যোক্তাদের শঙ্কা, বাজারব্যবস্থা যথাযথ না হলে ফল বিক্রি নিয়ে সমস্যায় পড়তে হতে পারে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, খাগড়াছড়ির উপ-পরিচালক মো. বাছিরুল আলম বলেন, ‘রাম্বুটান চাষ সম্প্রসারণে আমরা হর্টিকালচার সেন্টার থেকে চারা সরবরাহ করছি। তবে এটি এখনও অনেকের কাছে অপ্রচলিত ফল হওয়ায় বাজারে গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানো দরকার।

চাষিরা বলছেন, খাগড়াছড়িতে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের কার্যালয় থাকলেও মাঠপর্যায়ে তাদের কার্যক্রম চোখে পড়ে না। তারা বাজারজাত ও রপ্তানি সংযোগে সরকারি সহায়তা চান।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত