গত ১৭ বছরে বাংলাদেশের মানুষের কোনো গণতান্ত্রিক অধিকার ছিল না, ভোটের অধিকার ছিল না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, রাজবাড়ী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম। গতকাল রাজবাড়ী পৌরশহরের চর লক্ষীকুল রাজারবাড়ি আল্লা নেওয়াজ খায়রু একাডেমি মাঠ প্রাঙ্গণে তাফসীরুল কুরআন মাহফিল এ তিনি এ মন্তব্য করেন। আলী নেওয়াজ বলেন, রাষ্ট্র চালাবে কে, সেই রাষ্ট্র চালাবে হচ্ছে জনগণ, জনগণ মত দিয়ে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করবেন, কারা রাষ্ট্র চালাবে, কারা জেলা চালাবে, কারা উপজেলা চালাবে, কারা পৌরসভা, ইউনিয়ন, মসজিদ, স্কুল, সবকিছুই সংখ্যাগরিষ্ঠের ভিত্তিতে যাদেরকে মানুষ পছন্দ করবে তারাই দেশ শাসন করবে এটাই নিয়ম। কিন্তু দেখা গেলো সমস্ত নিয়মকে পদদলিত করা হয়েছে। সমস্ত নিয়মকে ধ্বংস করে জোর করে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য শেখ হাসিনা ও তার সরকার, শতশত মানুষ হত্যা করেছে, লক্ষ লক্ষ মানুষকে মিথ্যা মামলায় দণ্ড দিয়েছে, মানুষকে বিচারের নামে প্রহসন করে কারাগারে ফাঁসি দিয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আপনারা জানেন যে শেখ হাসিনা সরকার মানুষকে নির্যাতন করে, মানুষের ভোটাধিকার হরণ করে, মানুষকে ভোট দিতে না দিয়ে, মত প্রকাশের সুযোগ না দিয়ে জোর করে দীর্ঘ ১৭ বছর ক্ষমতায় ছিল। দীর্ঘ শাসনামলে আলেমদের ও কথা বলতে দেয়া হয়নি। আলেমরা কথা বলতে গেলে আওয়ামী লীগের পাতি নেতারা মাইক কেরে নিয়েছে। মাহফিলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রাজবাড়ী জেলা শাখার সভাপতি এ্যাডভোকেট নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তৃতা করেন মুফতি আমীর হামজা। এ সময় মুফতি আমির হামজা বলেন, গত ১৭ বছর যারা জোর করে ক্ষমতায় ছিল তাদের আপনারা সাবেক এমপি বলবেন না। বলবেন সাবেক চোর-বড়জোর সাবেক ভোট ডাকাত বলা যেতে পারে।