বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহিদ মাগুরাব শ্রীপুর উপজেলার বরইচারা গ্রামের মোত্তাকিনের লাশ পরিবারের বাধার কারণে করর থেকে তুলতে পারেনি। ময়না তদন্তের জন্য ২৬৯ দিন পর গতকাল মঙ্গলবার সকালে তার পারিবারিক কবরস্থানে ঘটে এ ঘটনা।
জানা গেছে, মাগুরা বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে মাগুরার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এনডিসি) মুজাহিদুল ইসলামের উপস্থিতিতে মুত্তাকিনের লাশ উত্তোলনের জন্য বরইচারা কবরস্থানে যান তদন্তকারী সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) পরিদর্শক সৈয়দ সাজেদুরসহ সংশ্লিষ্টরা।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাগুরার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এনডিসি) ডা. কৃষ্ণ বিশ্বাস। সকাল থেকে লাশ উত্তোলনের চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত পরিবার, আত্নীয়-স্বজন, গ্রামবাসী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বাধার মুখে লাশ উত্তোলন না করেই ফিরে যান তারা । উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ২০২৪ সালের ২০ আগস্ট মিরপুর ১০ নম্বর ফায়ার সার্ভিসের সামনের রাস্তায় মাথায় গুলি লেগে শহিদ হন মুত্তাকিন। পরবর্তীতে ওই ঘটনায় মুত্তাকিনের বড় ভাই মো. শিহাবুল ইসলাম ঢাকা মিরপুর থানায় পেনাল কোডের ৩০২ /১৪৯/৩৪ ধারায় একটি মামলা করেন দায়ের করেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল মঙ্গলবার সকালে বরইচারা গ্রামের কবরস্থান থেকে লাশ উত্তোলণের জন্য আসেন ঢাকা মেট্রো উত্তর পিবিআই। লাশ উত্তোলনে আপত্তি জানিয়ে বাধা দেন তারা। তখন ঘটনাস্থলে উপস্থিত তদন্তকারী কর্মকর্তা এবং অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোজাহিদুল ইসলাম সময় দিয়ে আদালতের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
মামলার বাদী মুত্তাকিনের বড় ভাই মো. শিহাবুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, মামলাটির তদন্তকারী সংস্থা পিবিআই থেকে আমাদের সঙ্গে আগে যোগাযোগ করা হয়েছিল লাশ উত্তোলনের জন্য। আমরা বরাবরই লাশ উত্তোলনের বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে আসছি। পিবিআই আদালতের মাধ্যমে সব কাজ সম্পন্ন করে লাশ উত্তোলনের জন্য আসেন। আমরা খবর পেয়ে এখানে এসে আপত্তি জানাই। তারা লিখিতভাবে আবেদন দিতে বললে আমি, আমার মা রহিমা খাতুন, মুত্তাকিনের স্ত্রী নায়মা এরিন নিতু লিখিত আপত্তি দিয়েছি। তখন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবং তদন্তকারী কর্মকর্তা আমাদের আদালতের মাধ্যমে বিষয়টি এগিয়ে নেয়ার কথা জানান।
এ ব্যাপারে শ্রীপুর থানা অফিসার ইনচার্জ মো. ইদ্রিস আলী বলেন, আমরা সহায়ক টিম হিসাবে ঘটনাস্থলে গিয়ে ছিলাম। কিন্তু পরিবারের পক্ষ থেকে লাশ উত্তোলনের সম্মতি না থাকায় তদন্তকারী টিম ফিরে যায় এবং আমাদের সহায়ক টিমের সদস্যরাও ফিরে আসে।