জুলাই মাসে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের বিভিন্ন মামলায় আসামির সংখ্যা বেশি হওয়ায় কে দোষী আর কে নির্দোষ—তা নিশ্চিত করতে সময় বেশি লাগছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
আজ মঙ্গলবার (১০ জুন) সকালে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের গাছা থানা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আগে কোনো হত্যাকাণ্ডে জড়িত ১৫-২০ জনের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করত। কিন্তু এবার জুলাই আন্দোলন ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্ত ও সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি অনেক বেশি সংখ্যক আসামির বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। এতে অনেক নির্দোষ ব্যক্তিও ঢালাওভাবে আসামি হয়েছেন।’
পুলিশ বিভাগের সংস্কারের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘অনলাইনে মামলা ও সাধারণ ডায়েরি (জিডি) গ্রহণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ এখন থেকে কাঁচের ঘরে করা হবে, যাতে বাইরে থেকেই দেখা যায়—তাদের সঙ্গে কেমন আচরণ করা হচ্ছে।’
দুর্নীতি প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘মামলা বাণিজ্য বা পুলিশের মধ্যে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত কেউই ছাড় পাবে না। দুর্নীতি বাংলাদেশের বড় সমস্যা। যদি এটি নিয়ন্ত্রণে আনা যায়, তবে দেশ অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারবে।’
এই সময় গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার ড. মো. নাজমুল করিম খানসহ জিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী আরও বলেন, ‘আগে হয়তো পুলিশ ১০-১৫ জনের নাম দিয়ে কিছু বেনামী আসামির বিরুদ্ধে মামলা করত। এবার দেখছি ২০০-২৫০ জনের নাম একেকটি মামলায় যুক্ত হয়েছে। এ কারণেই তদন্তে দেরি হচ্ছে এবং নির্দোষ অনেকেই হয়তো অনিচ্ছাকৃতভাবে মামলার জালে আটকা পড়েছেন।’