বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, ২০২৪-এর গণঅভ্যুত্থানের পরে আর কোনোদিন ভারতের আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হতে দেওয়া হবে না। আ.লীগের চালানো গণহত্যা ও হাজার হাজার গুম, খুনের কারণে শেখ হাসিনাসহ সবার বিচার করতে হবে। বিচার শেষে যদি কোনো নেতাকর্মী থাকে তাহলে তাদের রাজনীতির সুযোগ দেওয়া হোক। তবে বিচার হলে আ.লীগ চালানোর মতো কোনো ব্যক্তি থাকবে না। গতকাল রোববার পৌর এলাকার মাছুমপুর মাঠে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, অল্প সময়ে অন্তর্বর্তী সরকার বিভিন্ন উদ্যেগ নিয়েছেন। বিশেষ করে গত রমজানে দ্রব্যমূল্যের দাম কমিয়েছে এবং লোডশেডিং হয়নি। দেশের অর্থনীতিতে অভূতপূর্ব সাফল্য এসেছে। ১৯৭২ সালে শেখ মুজিবুর রহমান একদলীয় বাকশাল কায়েমের মাধ্যমে বাংলাদেশের ৭ কোটি মানুষের ইচ্ছা ও অধিকারকে জলাঞ্জলি দিয়েছেন।
তিনি ভারত থেকে ইন্দিরা গান্ধীর দেয়া ধর্মীয় মতবাদ আমদানি করেন। তখন থেকেই বাংলাদেশ ভারতের শৃঙ্খলে জিম্মি হয়ে আছে। নারী সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনার নিন্দা জানিয়ে তিনি আরও বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে ইসলামবিরোধী প্রস্তাবনা বাতিল করতে হবে। শেখ হাসিনার আমলেও এত বড় দুঃসাহস কেউ দেখায়নি। তারা ইসলামের আদেশকে বড় বৈষম্য বলে দাবি করেছেন। নিজ ধর্ম বাদ দিয়ে যেকোনো ধর্মের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার অভিব্যক্তি করেছেন। এ কমিশন ইসলামকে কটাক্ষ করেছেন। আমি বিশ্বাস করি, দেশের ৯০ শতাংশ নারী এর বিপক্ষে অবস্থান নেবেন।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস জেলা শাখার সভাপতি মুফতি আব্দুর রউফের সভাপতিত্বে এ জনসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দিন আহমদ, যুগ্ম মহাসচিব মুফতি শরাফত হুসাইন, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক মুসা, কেন্দ্রিয় বায়তুল মাল সম্পাদক মাওলানা ফজলুর রহমান, কেন্দ্রিয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আবুল হাসানাত জালালী, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু, জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা শাহিনুর আলম, খেলাফত মজলিসের জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মুফতি আহমাদুল্লাহ সিরাজী প্রমুখ।