ঢাকা রোববার, ১৮ মে ২০২৫, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

সুন্দরবনে বেড়ে চলেছে হরিণ শিকারীদের দৌরাত্ম্য

সুন্দরবনে বেড়ে চলেছে হরিণ শিকারীদের দৌরাত্ম্য

সুন্দরবনে প্রতিনিয়ত হরিণ নিধনের ঘটনা ঘটছে। বন বিভাগ, কোস্ট গার্ড, নৌপুলিশের নজরদারি উপেক্ষা করে চোরা শিকারীরা ফাঁদ পেতে নির্বিচারে হরিণ শিকার করে মাংস, চামড়া ও শিং বেচাবিক্রি করে আর্থিক ফায়দা লুটে নিচ্ছে। অভিযানের কবলে পড়ে মাঝেমধ্যে দু’চারজন চোরা শিকারী পাকড়াও হচ্ছে তবে অধিকাংশরা ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে। নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, পশ্চিম সুন্দরবনের হড্ডা বন টহল ফাঁড়ির নিকটবর্তী হোগলা স্লুইজ গেট, পূর্ব হড্ডা, শিবসা নদীর কিনার, গাংরখি বাজার, ফুলতলা বেড়িবাঁধ এলাকা ও গড়ুইখালি লঞ্চঘাটের আশপাশে সচরাচর হরিণের মাংস বেচাবিক্রি চলছে। এখানকার অর্ধশত চোরা শিকারী সুন্দরবনে ফাঁদ দিয়ে হরিণ শিকার করছে বলে স্থানীয় লোকজন জানায়। গত ২৭ এপ্রিল হড্ডার ফুলতলা বেড়িবাঁধ এলাকায় স্থানীয় নয়ন গাজী ও সাইফুল্লাহ একত্রে মিলে ৫০০ টাকা কেজি দরে ৫০ কেজি হরিণের মাংস বিক্রি করেছে হড্ডা ডিএম গ্রামের মিঠুন বন্দির নিকট। মিঠুন এলাকার লোকজনের কাছে হরিণের মাংস বিক্রেতা হিসেবে পরিচিত। এছাড়া মহেশ্বরীপুরের কালিবাড়ি, খোড়লকাটি, শেখেকোনা, তেতুলতলা, ৪নং কয়রা, পল্লীমঙ্গল, ৫ ও ৬নং কয়রা, জোড়শিং, পাতাখালি, আংটিহারা, খাসিটানা, গোলখালি, ঘড়িলাল, চরামুখা, পারসেমারি, গাবুরা, বুড়িগোয়ালিনী, মুন্সিগঞ্জ এলাকার বহু চোরা শিকারীচক্র দীর্ঘদিন ধরে সুন্দরবনে হরিণ শিকারের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে খুলনা সার্কেলের বন সংরক্ষক ইমরান আহমেদ বলেন, সুন্দরবনে হরিণ শিকার রোধে বন বিভাগের লোকজন দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত