ঢাকা মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

চিনাবাদাম ফলনে বাজিমাত

চিনাবাদাম ফলনে বাজিমাত

হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার পূর্ব রূপশংকর গ্রামের কৃষক মো. শফিউল আলম চিনাবাদাম চাষ করেছেন। আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে সিলেট অঞ্চলের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় চিনাবাদাম চাষ করে তিনি সফলতা পেয়েছেন। বাদাম চাষে তাকে পরামর্শ দিয়েছেন উপ-সহকারী কৃষি অফিসার শামীমুল হক শামীম। চলতি বছরের এ পরামর্শে জানুয়ারি মাসে প্রায় ৩০ শতক জমি আবাদ করে চিনাবাদামের বীজ বোনেন কৃষক মো. শফিউল আলম। প্রায় ৪ মাস লেগেছে চিনাবাদাম উৎপাদনে। নতুন এই ফসলটি দেখতে এলাকার কৃষকরা সরেজমিন আসেন। কৃষক মো. শফিউল আলমের খেতে বাজিমাত ফলন দেখে অন্য কৃষকরাও চিনাবাদাম চাষে আগ্রহী হয়েছেন। তারাও চাষের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

কৃষক মো. শফিউল আলম বলেন- চিনাবাদাম চাষে খরচ নেই বললেই চলে। তবে নিজেদের গোবর থাকলে জমিতে প্রয়োগ করে বাদামের বাম্পার ফলন পাওয়া সম্ভব। পানি দিতে হয়েছে। তেমন কোনো বিষ প্রয়োগ ছাড়াই চিনাবাদাম চাষ করতে পেরে আমি আনন্দিত। চাষে সার্বিক সহযোগিতা করেছেন উপ-সহকারী কৃষি অফিসার শামীমুল হক শামীম। ধারণা করছি, প্রায় ৫০ হাজার টাকা চিনাবাদাম বিক্রি করতে পারবো। খরচ হয়েছে প্রায় ১০ হাজার টাকা। এলাকার কৃষকরা বলেন- শ্রম দিলে ফল আসে। নতুন ফসল চিনাবাদাম চাষ করে তার প্রমাণ দিলেন কৃষক মো. শফিউল আলম। তার খেতে বাদামের ভালো ফলন হয়েছে। তাই আমরা (কৃষকরা) চিনাবাদাম চাষ করতে চাই।

উপ-সহকারী কৃষি অফিসার শামীমুল হক শামীম বলেন- চিনাবাদাম যেমন আকর্ষণীয়, তেমনি পাতাও বেশ সুদর্শন। পাতার গড়ন অনেকটা আলুপাতার মতোই। এ বাদাম মাটির নিচে জন্মে। চিনাবাদামের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরে কঠিন রোগকে বাসা বাধতে বাঁধা দান করে। এখানে কৃষক মো. শফিউল আলম প্রমাণ করলেন চেষ্টা করলে সফল হওয়া সম্ভব। তাকে সহযোগিতা করেছি। তিনি শ্রম দিয়েছেন। বাদামের ভালো ফলন হয়েছে। এমন ফলন দেখে এলাকার অন্য কৃষকরাও বাদাম চাষে আগ্রহী হয়েছেন। তিনি বলেন- বাদাম আমাদের কৃষি উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বাহুবল উপজেলার মাটি ও আবহাওয়া বাদাম চাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। বিনা উদ্ভাবিত ধান, তৈলবীজ, গম, ডালসহ বিভিন্ন ফসলের জাত প্রচলিত জাতের তুলনায় ২-৩ গুণ বেশি ফলন দেয়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত