যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে মিলেছে ভুয়া চিকিৎসক। এ্যাপ্রোন পরিধান করে হাসপাতালে বিভিন্ন রোগীদের নিকট প্রতারণা করে অর্থ উপার্জনই ছিল তার উদ্দেশ্য। রোগীদের বিভিন্ন দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে তিনি এই প্রতারণা করতেন। প্রতারক চক্রের মধ্যে আটক ভুয়া চিকিৎসক আব্দুর রহিম রাকিব (২৬) স্থায়ী ঠিকানা বরিশাল জেলার পটুয়াখালী বাউফল গ্রামে। কিন্তু তার পিতা মজিবুর রহমান যশোর জেলার কন্টিনেন্টাল ইন্সুরেন্স এ চাকরি করাই তারা পরিবারসহ যশোর শহরের শঙ্করপুর ইসহাক সড়কের ভাড়া বাসায় থাকেন। যশোর জেনারেল হাসপাতালে দায়িত্বরত পুলিশ কনস্টেবল সোহেল জানান, কয়েকদিন ধরেই হাসপাতালে একটি প্রতারক চক্র রোগীদের নিকট হতে বিভিন্ন ভাবে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিল।
আমরা গোপন সূত্রে তথ্য পেয়ে এই চক্রটিকে ধরার জন্য বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করি। পরবর্তীতে আব্দুর রহমান রাকিব নামের একজন ভুয়া চিকিৎসক আটক করি। ভুক্তভোগী রোগী সানজিদা বেগম জানান, আমার নিকট কৌশল করে এই প্রতারক টাকা নিয়েছে। আমার ভাইয়ের শাশুড়ি আইসিইউতে ভর্তি ছিল। ওই সময় কিছু ডাক্তারের ব্লাড টেস্ট দেয়। টেস্ট করানোর সময় সে আমার পিছু নেয় এবং বলে আপনি কিছু টাকা দেন আমি এ টেস্টগুলো করে দিচ্ছি। আমি এই হাসপাতালের ডাক্তার।
যশোর ২৫০ শয্য হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার হুসাইন শাফায়াত বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এই চক্রটি হাসপাতালে বিভিন্নভাবে রোগীদের নিকট হতে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিল এমন অভিযোগ ছিল। কিন্তু আমরা এই চক্রটিকে ধরতে পারছিলাম না। হাসপাতালের ডিউটিরত পুলিশ এই চক্রটির একজনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে। এই ব্যক্তি ডাক্তারি এ্যাপ্রোন পরে বিভিন্ন রোগীদের নিকট হতে কৌশল করে টাকা নিচ্ছিল। আসলে আমাদের এ বিষয়ে একটি টিমও কাজ করছে। ঘটনাটি কেন্দ্র করে হাসপাতালে অভিযান চলমান থাকবে। এই ঘটনাটির বিষয়ে আমরা মামলা দায়ের করব। পরবর্তীতে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ারও যে কার্যকলাপ আছে সেইগুলো চালিয়ে যাবো। হাসপাতালে এমন কার্যকলাপের বিষয়ে কোনো ব্যক্তি বা আমাদের হাসপাতালে কর্মকর্তারা জড়িত থাকলে তাদেরকেও ছাড় দেওয়া হবে না।