চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষায় হাজীগঞ্জের ৩৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২৯৭৮ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে পাশ করেছে ২০০৪ জন। পাশের হার ৬৭.২৯ শতাংশ। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২০৫ জন, এ গ্রেড ৭২৫ জন, এ মাইনাস ৪৭০ জন, বি গ্রেড ৩৪৬ জন, সি গ্রেড ২৫০ জন ও ডি গ্রেড ৮ জন এবং অকৃতকার্য হয়েছে ৯৭৪ জন। গত বৃহস্পতিবার সারাদেশে একযোগে সব শিক্ষাবোর্ডের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়। উপজেলার ৩৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মাত্র একটি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা শতভাগ পাশ করার গৌরব অর্জন করেছে। এছাড়াও অর্ধেকের নিচে পাশ করেছে ১১টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
এ বছর উপজেলায় জিপিএ-৫ এর দিক থেকে সেরা হাজীগঞ্জ সরকারি মডেল পাইলট হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ। এ প্রতিষ্ঠান থেকে ২৫১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে পাশ করেছে ২৩৮ জন। পাশের হার ৯৪.৮২ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭৫ জন, এ গ্রেড ৮৬ জন, এ মাইনাস ৫০ জন, বি গ্রেড ১৯ জন ও সি গ্রেড ৮ জন এবং অকৃতকার্য হয়েছে ১৩ জন। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে হাজীগঞ্জ পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। এ প্রতিষ্ঠান থেকে ২১০ জন শিক্ষার্থী পরক্ষা দিয়ে শতভাগ পাশ করার গৌরব অর্জন করেছে। পাশকরা শিক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৬ জন, এ গ্রেড ১৩৫ জন, এ মাইনাস ১৮ জন, বি গ্রেড ৯ জন ও সি গ্রেড পেয়েছে ২ জন। তৃতীয় অবস্থানে আল কাউসার স্কুল। এ প্রতিষ্ঠান থেকে ৮৫ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে পাশ করেছে ৭৭ জন। পাশের হার ৯০.৫৯ শতাংশ। এরমধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৪ জন, এ গ্রেড ১০ জন, এ মাইনাস ২৯ জন, বি গ্রেড ১২ জন ও সি গ্রেড ১২ জন এবং অকৃতকার্য হয়েছে ৮ জন। চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে বলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়। এ প্রতিষ্ঠান থেকে ৯৫ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে পাশ করেছে ৭৫ জন। পাশের হার ৮১.৫২ শতাংশ। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৩ জন, এ গ্রেড ২৬ জন, এ মাইনাস ১৮ জন, বি গ্রেড ১০ জন ও সি গ্রেড ৮ জন এবং অকৃতকার্য হয়েছে ১ জন। পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে বড়কুল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। এ প্রতিষ্ঠান থেকে ৪১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে পাশ করেছে ৪০ জন।