
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার মুনসুমি গ্রামে পানি নিষ্কাশনে একটি ব্রিজ না থাকায় প্রায় ৩০০ বিঘা জমি জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এ গ্রামের মাঝপথে এ জলাবদ্ধতা দীর্ঘদিনের। এতে কৃষকেরা জমিতে চাষাবাদ করতে পারছেনা।
এ সমস্যা নিরসনে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেও কাজ হয়নি। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, মুনসুমি গ্রামে প্রায় ৫ হাজার লোকের বসবাস। এ গ্রামের পূর্বে চন্দ্রকোণা ও পশ্চিমে বহুলী নামে দুটি আঞ্চলিক নদী বয়ে গেছে এবং ওই গ্রামের দক্ষিণে নূরনবীর বাড়ি থেকে উত্তরে সাটিকাবাড়ি পর্যন্ত ৩০০ বিঘা জমিজুড়ে জলাবদ্ধতা।
এ দীর্ঘমেয়াদি জলাবদ্ধতার কারণে কৃষকেরা তাদের এ জমিতে চাষাবাদ থেকে বঞ্চিত। স্থানীয় কৃষক রেজাউল করিম, বনি ইয়ামিন, নূরনবী ও আনোয়ার মাস্টারসহ অনেক কৃষক বলেন, প্রবল বর্ষণে প্রতিবছর এ গ্রামের কিছুটা নিচু এলাকার মাঝপথে পানিতে সয়লাব হয়। বিশেষ করে জুন মাস থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত এ জলাবদ্ধতায় প্রায় ৩০০ বিঘা জমি পানির নিচে থাকে। পানি নিষ্কাশনে মাত্র একটি কালভার্ট ব্রিজ না থাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এ জলাবদ্ধতায় কচুরিপানাসহ নানা আবর্জনায় গড়ে ওঠে।
এ কারণে কৃষকেরা সেখানে চাষাবাদ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে প্রতিবছর। এমনকি ওই গ্রামের সরকারি প্রাথমিক স্কুলও এখন জলাবদ্ধতার মুখে পড়েছে। ওই গ্রামের উত্তরে পাকা সড়কের মোড় থেকে পশ্চিম দিকে একটি পাকা সড়ক নির্মাণ প্রয়োজন এবং এ সড়কের মাঝখানে পানি নিষ্কাশনে একটি কালভার্ট ব্রিজ নির্মাণ করলে এই জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। এ বিষয়ে বিগত সরকার আমলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন বরাবর একাধিকবার আবেদন করা হয়েছিল।
এ আবেদনে জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের লোকজন সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। কিন্তু আজও অজ্ঞাত কারণে জলাবদ্ধতা থেকে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে পারেনি। তারা আরও আক্ষেপ করে বলেন, খোকশাবাড়ি ইউনিয়নের সে সময়ের চেয়ারম্যান ও বহুলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের অজ্ঞাত কারণেই পানি নিষ্কাশনের সড়ক ও কালভার্ট ব্রিজ নির্মাণ হয়নি। এ জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তির জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন ভূক্তভোগী কৃষকেরা।