ঢাকা শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

অনেক জাতীয় পুরস্কার আছে বোর্ডসেরা বর্ণের ঝুলিতে

অনেক জাতীয় পুরস্কার আছে বোর্ডসেরা বর্ণের ঝুলিতে

এসএসসি ২০২৫-এর প্রকাশিত ফলাফলে চমক দেখিয়েছেন ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্রী বর্ণনা দাস বর্ণ। ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ১১৮৯ নম্বর পেয়ে সে শুধু নিজ প্রতিষ্ঠানকেই নয় পুরো ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডকে গর্বিত করেছে। তার এই সাফল্যে উচ্ছ্বসিত পরিবার, শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং সহপাঠীরা।

সহপাঠীরা জানায়, পড়াশোনার পাশাপাশি ছবি আঁকাও তার শখ। ছোটবেলা থেকেই এই প্রতিভার জন্য অনেক জাতীয় পুরস্কারও পেয়েছে সে। তবে পড়াশোনার সময় ছবি আঁকার জন্য আলাদা করে সময় দিত না। সময় পেলে যতটুকু পারতো ততটুকুই আঁকত।

বর্ণের বাবা বরুণ কুমার দাস আনন্দ মোহন কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক। মেয়ের সাফল্যে অত্যন্ত আনন্দিত তিনি। তিনি বলেন, বর্ণ ছোটবেলা থেকেই মেধাবী। আমরা তাকে শুধু সঠিক পথে চলতে শিখিয়েছি। ওর এই ফলের পেছনে ওর নিজের নিষ্ঠা ও কঠোর পরিশ্রমই আসল কারণ। বর্ণের মা সোনালী রানী সেন একজন গৃহিণী। মেয়ের এই সাফল্যে তার চোখে আনন্দের অশ্রু। তিনি বলেন, বর্ণ পড়ালেখার বিষয়ে সবসময় সচেতন ছিল। ওর কোনো পড়া জমে থাকতে দেখিনি। ও যে এত ভালো ফল করবে আমরা আশা করেছিলাম। আজ সেই আশা পূরণ হয়েছে।

ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ ময়মনসিংহের শিক্ষকরাও বর্ণকে নিয়ে গর্বিত। সিনিয়র শিক্ষক (হিসাববিজ্ঞান) মোহাম্মদ ফারুক মিঞা বলেন, বর্ণ খুবই শান্ত ও বিনয়ী স্বভাবের। পড়ালেখার প্রতি তার গভীর আগ্রহ ছিল। ক্লাসে শিক্ষকদের লেকচার সে খুব মনোযোগ দিয়ে শুনতো এবং কোনো সমস্যা থাকলে জানতে দ্বিধা করত না। তার এই সাফল্য আমাদের জন্য গর্বের। নিজের অসাধারণ সাফল্যের পেছনের গল্প বলতে গিয়ে বর্ণ জানায়, তার এই ফলাফলের মূল চাবিকাঠি ছিল নিয়মিত পড়াশোনা। সে কোনোদিন পড়া জমিয়ে রাখেনি। প্রতিদিনের পড়া প্রতিদিনই শেষ করার চেষ্টা করতো। বর্ণ বলেন, আমার বাবা-মা এবং শিক্ষকরা সবসময় আমাকে সহযোগিতা করেছেন। পরীক্ষার আগে তারা আমাকে কোনো চাপ দেননি বরং সাহস জুগিয়েছেন। স্কুলের শিক্ষদের ভূমিকাও ছিলো অসাধারণ। তাদের এই সমর্থন না পেলে হয়তো এত ভালো ফল করা সম্ভব হতো না। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে বর্ণ জানায়, সে একজন দেশসেরা ব্যাবসায়ী বিশ্লেষক হতে চায়। এতে করে বাংলাদেশের ব্যবসায়িক পরিবেশ, নীতি ও সম্ভাবনাগুলো বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে আকর্ষণীয়ভাবে তুলে ধরবে সে। তার তৈরি করা তথ্যভিত্তিক রিপোর্ট বিদেশি কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে উৎসাহিত করবে বলে আশা বর্ণের।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত