ঢাকা শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

হাজার বাধা পেরিয়ে সফল উদ্যোক্তা

হাজার বাধা পেরিয়ে সফল উদ্যোক্তা

সংগ্রাম, পরিশ্রম আর স্বপ্নের মেলবন্ধনে তৈরি হয়েছে এক অনন্য সফলতার গল্প। অর্ধ শতাধিক প্রকারের পিঠা ও নানান বাহারি খাবারের মাধ্যমে ক্রেতাদের মন জয় করে নিয়েছেন পটুয়াখালীর নারী উদ্যোক্তা জান্নাত আরা মিলি। একসময় ছোট পরিসরে শুরু হলেও এখন তার উদ্যোগ হোম কিচেন অ্যান্ড মিলি বুটিক্স হাউজ পরিচিতি পেয়েছে স্থানীয়ভাবে এক প্রশংসিত ব্র্যান্ড হিসেবে। জান্নাত আরা মিলির উদ্যোক্তা হওয়ার পথটা মোটেও সহজ ছিল না।

নানা প্রতিকূলতা, অর্থাভাব এবং সামাজিক বাধা পেরিয়ে নিজের হাতে গড়া স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিয়েছেন তিনি। শুরুটা ছিল একেবারে ঘরোয়া পরিসরে। রান্নার প্রতি আগ্রহ আর পরিবারের প্রেরণা থেকেই শুরু করি। কিন্তু পুঁজি ছিল সীমিত, তাই ধীরে ধীরে এগিয়েছি বললেন মিলি। পিঠা তৈরিতে তার নিখুঁত দক্ষতা, উপাদানের বিশুদ্ধতা আর সৃজনশীল উপস্থাপনা ক্রেতাদের মন জয় করেছে।

মিলি আপুর পিঠার স্বাদ অন্য রকম। খাওয়ার পর মনে হয়, আবার খেতে হবে বললেন এক ক্রেতা। শুধু পিঠাই নয়, দেশীয় খাবারের পাশাপাশি তিনি তৈরি করেন নানা রকম বাহারি পদ, যা মেলা কিংবা অনলাইন অর্ডারে সমান জনপ্রিয়। বিভিন্ন মেলায় অংশ নিয়ে পণ্য বিক্রি করেন মিলি। এবারের পটুয়াখালীর বিসিক উদ্যোক্তা মেলায় এসে কাঙ্ক্ষিত স্টল না পাওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন তিনি এবং আরও অনেকে।

মিলির ভাষায় আমরা যারা নারী উদ্যোক্তা, মেলায় স্টল পাওয়া আমাদের জন্য শুধু বিক্রির সুযোগ নয়, পরিচিতি বাড়ানোরও সুযোগ। স্টল না পেয়ে খুব কষ্ট পেয়েছি। উদ্যোক্তা হিসেবে মিলির লক্ষ্য ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে ব্যবসা সম্প্রসারণ করা। তিনি চান পটুয়াখালী ছাড়িয়ে দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও তার পণ্যের চাহিদা তৈরি হোক।

উদ্যোক্তাদের সার্বিক সহযোগিতার বিষয়ে বিসিকের পটুয়াখালী অফিসের সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. আলমগীর সিকদার বলেন, আমরা নারী উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ, বাজার সংযোগ ও মেলার সুযোগ দিয়ে সহযোগিতা করছি। সামনের দিনগুলোতে আরও সহায়তা বাড়ানো হবে।

সংগ্রাম আর পরিশ্রমের মাধ্যমে জান্নাত আরা মিলি যেমন নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন, তেমনি হয়ে উঠেছেন অনেক নারীর জন্য অনুপ্রেরণা। তার গল্প প্রমাণ করে, দৃঢ় ইচ্ছাশক্তি থাকলে যেকোনো বাধাই অতিক্রম করা সম্ভব।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত