ঢাকা শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

কলাপাড়ায় কাঁচা সড়কে দুর্ভোগ

কলাপাড়ায় কাঁচা সড়কে দুর্ভোগ

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার পূর্ব আলীপুর থেকে আজিমপুর পর্যন্ত প্রায় চার কিলোমিটার দীর্ঘ কাঁচা সড়কটি বর্ষা এলেই কর্দমাক্ত হয়ে পড়ে অচল। অন্তত ১০ হাজার মানুষের প্রতিদিনের চলাচলের একমাত্র এই পথ এখন যেন দুর্ভোগের প্রতীক। শিক্ষার্থী, শিক্ষক, রোগী, নারী-শিশু কেউই বাদ যাচ্ছে না এ ভোগান্তি থেকে।এই সড়ক দিয়েই যেতে হয় কুয়াকাটা খানাবাদ ডিগ্রি কলেজ, পূর্ব আলীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মুসল্লীয়াবাদ একে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শত শত শিক্ষার্থীকে। বৃষ্টির দিনে হাঁটতে গিয়েই কাদায় পা আটকে পড়ে, অনেক সময় পড়ে গিয়ে বই-খাতা নষ্ট হয়ে যায়। প্রতিদিন কাদা মাড়িয়ে স্কুলে যেতে হয়। জামাকাপড় নোংরা হয়ে যায়, সময়মতো ক্লাসে পৌঁছানোই কষ্ট এমনটাই অভিযোগ জানায় নবম শ্রেণির ছাত্রী মিমি আক্তার।

শুধু শিক্ষার্থী নয়, শিক্ষক ও অভিভাবকরাও ক্ষুব্ধ। শিক্ষার্থীরা ভিজে নোংরা হয়ে আসে। এতে ক্লাসে মনোযোগও কমে যায়। বছরের পর বছর এ অবস্থা চলছে, অথচ সমাধান নেই, বলেন মুসল্লীয়াবাদ একে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আনোয়ার হোসেন। অবস্থানগত কারণে সড়কটি ইউনিয়নের একমাত্র স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যাওয়ার প্রধান পথ। বিকল্প কোনো রাস্তা না থাকায় রোগী পরিবহন প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। স্থানীয় বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম জানান, গর্ভবতী নারী কিংবা বয়স্ক রোগী—সবাইকে খাঁচা বা বাঁশে তুলে কাদামাটি মাড়িয়ে নিতে হয় ক্লিনিকে। এটা মানবেতর অবস্থা। এলাকাবাসীর অভিযোগ, বহুদিন ধরে সড়ক পাকাকরণের দাবি জানালেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। নির্বাচনের আগে প্রতিশ্রুতি মিললেও তা বাস্তবায়ন হয় না। প্রতিবার ভোটের আগে নেতারা এসে প্রতিশ্রুতি দেন। ভোট শেষে আমরা আবার ভুলে যাই, আর রাস্তা আগের মতোই থেকে যায়, ক্ষোভ প্রকাশ করেন আজিমপুরের কৃষক আবদুল খালেক।

এ বিষয়ে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইয়াসীন সাদেক বলেন, আমরা সড়কটির গুরুত্ব সম্পর্কে অবগত। দ্রুত সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে। অতিষ্ঠ গ্রামবাসীর একটাই দাবি, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এই সড়কটি পাকাকরণ।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত