
পটুয়াখালীর আলীপুর ও মহিপুর দুই উপকূলীয় মৎস্য বন্দরে প্রতিদিন ভিড়ছে বঙ্গোপসাগর থেকে ফেরা শত শত মাছভর্তি ট্রলার। ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে আড়তে মাছের লেনদেন। প্রতিদিন কোটি টাকার বেচাকেনা হলেও আধুনিক অবকাঠামো থাকা সত্ত্বেও সবচেয়ে বড় মহিপুর বন্দরটি এখনও পুরোপুরি চালু হয়নি। ফলে সরকারের প্রাপ্য রাজস্ব হারাচ্ছে কোটি কোটি টাকা। ২০০৯ সালে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি) আলীপুর ও মহিপুরে আধুনিক মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা নেয়। ২০১৬ সালে আলীপুরে ১৫ কোটি এবং মহিপুরে ১৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে আধুনিক অবকাঠামো নির্মাণের কাজ শেষ হয়। অফিস ভবন, অকশন শেড, প্যাকিং শেড, বরফকল, বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র সব কিছুই রয়েছে। ২০২১ সালে উদ্বোধন হলেও এখনও মহিপুর বন্দর কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি। অন্যদিকে আলীপুর বন্দর আংশিকভাবে চালু হলেও পূর্ণ কার্যকারীতা পায়নি।
মহিপুরে পর্যাপ্ত আড়তঘরের অভাব এবং ট্রাক ঢোকার অসুবিধার কথা বলে অনেক ব্যবসায়ী সরকারি অবকাঠামো ব্যবহার করছেন না। নদীর তীরে নিজেদের আড়তঘর গড়ে তুলেই তারা ব্যবসা চালাচ্ছেন। এতে সরকারি রাজস্ব আদায় কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়েছে। মহিপুরের মৎস্য ব্যবসায়ী রাজা মিয়া বলেন, সরকারি অবকাঠামো আছে ঠিকই, আমরা ব্যাবসায়ী ৮২ জন আড়ত রুম আছে ৪০টা কিভাবে যাব? যে পল্টুন আছে তাতে ট্রলার ভিড়তে পারে সর্বোচ্চ ১০ টা।