
সুনামগঞ্জের ১২টি উপজেলায় ৬ লাখ ৯৯ হাজার ৬৮৭ জন শিশুকে দেওয়া হবে টাইফডের ভ্যাকসিন। এরমধ্যে প্লে, নার্সারি থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে ৪ লাখ ৬৩ হাজার ২৬৮ জন। সম্প্রতি জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের উদ্যোগে এক প্রেস কনফারেন্সে এ তথ্য জানানো হয়। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সমর কুমার পালের সভাপতিত্বে ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. সুকদেব সাহা জানান আগামী ১২, অক্টোবর থেকে জেলাব্যাপী টাইফয়েডের ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হবে। চলবে ১৮ কার্যদিবস পর্যন্ত। তিনি আরও জানান, ৯ মাস থেকে ১৫ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের টাইফয়েডের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। তিনি জানান, জেলায় মোট ৬ লাখ ৯৯ হাজার ৬৮৭ জন শিশু রয়েছে। এরমধ্যে প্লে, নার্সারি থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে ৪ লাখ ৬৩ হাজার ২৬৮ জন। জেলার প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, ইপিআই কেন্দ্রে টাইফয়েডের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। তবে, ভ্যাকসিন দেওয়ার আগে শিশুর জন্ম নিবন্ধন দিয়ে অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এছাড়াও যাদের জন্ম নিবন্ধন নেই তারা ইপিআই টিকা কার্ড নিয়ে গেলে কর্তব্যরত স্বাস্থ্যকর্মীরা অফলাইনে ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন। প্রেস কনফারেন্সে জানানো হয়, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলায় ৯ মাস থেকে ১৫ বছর বয়সি শিশু রয়েছে ৬৫ হাজার ৮০৫ জন। এরমধ্যে প্লে, নার্সারি থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রী হচ্ছে ৪৭ হাজার ৯১৬ জন।
শন্তিগঞ্জ উপজেলায় ৫৩ হাজার ৭১৩ জন শিশু। এরমধ্যে প্লে, নার্সারি থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রী ৩৪ হাজার ২২৭ জন। ছাতক উপজেলায় ৯৬ হাজার ৬০ জন শিশু। এরমধ্যে প্লে, নার্সারি হতে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রী হচ্ছে ৬৭ হাজার ৫৭৫ জন। দোয়ারাবাজার উপজেলায় ৬৭ হাজার ৩৭৬ জন শিশু। এরমধ্যে প্লে, নার্সাারি থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ৪৫ হাজার ৬৮৫ জন ছাত্র-ছাত্রী। বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় ৫৩ হাজার ৬৫৮ জন শিশু রয়েছে। এরমধ্যে প্লে, নার্সারি হতে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে ৩২ হাজার ৭৫৫ জন। তাহিরপুর উপজেলায় ৫৬ হাজার ২৯৬ জন শিশু রয়েছে। এরমধ্যে প্লে, নার্সারি হতে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রী হচ্ছে ৩৩ হাজার ২০ জন। জামালগঞ্জ জেলায় ৫৩ হাজার ৫০৩ জন শিশু রয়েছে। এরমধ্যে প্লে, নার্সারি হতে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রী হচ্ছে, ৩৩ হাজার ৩৭৫ জন। ধর্মপাশা উপজেলায় ৬২ হাজার ২৯৯ জন শিশু। এরমধ্যে প্লে, নার্সারি হতে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রী হচ্ছে ৪০ হাজার ৭৩৫ জন। দিরাই উপজেলায় ৭১ হাজার ২৯৬ জন শিশু রয়েছে। এরমধ্যে প্লে, নার্সারি থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রী হচ্ছে, ৪৩ হাজার ৪৬৮ জন। শাল্লা উপজেলায় ৩৩ হাজার ১৪৫ জন শিশু রয়েছে। এরমধ্যে প্লে, নার্সারি হতে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রী হচ্ছে, ২০ হাজার ২৩০ জন। জগন্নাথপুর উপজেলায় ৬৪ হাজার ২৯৯ জন শিশু রয়েছে। এরমধ্যে প্লে, নার্সারি থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রী হচ্ছে ৪৪ হাজার ৯৫৭ জন। সুনামগঞ্জ পৌরসভায় ৯ মাস থেকে ১৫ বছর বয়াসি শিশু হচ্ছে, ২২ হাজার ২৩৭ জন। এরমধ্যে প্লে, নার্সারি হতে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রী হচ্ছে, ১৯ হাজার ২২৫ জন। জেলার নবগঠিত মধ্যনগর উপজেলার তথ্য ধর্মপাশা উপজেলার সঙ্গে যুক্ত করে তালিকা তৈরি করা হয়েছে বলেও জানানো হয়।
প্রেস কনফারেন্সে টাইফয়েডের ভ্যাকসিন বিষয়ে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন- সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. রাজেশ সিংহ।