ঢাকা রোববার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

বিএনপির সর্বকনিষ্ঠ প্রার্থী ডা. সানসিলা

বিএনপির সর্বকনিষ্ঠ প্রার্থী ডা. সানসিলা

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেরপুর-১ আসন থেকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রার্থী মনোনীত হয়েছেন ডা. সানসিলা জেবরিন প্রিয়াঙ্কা। বিএনপি মনোনীত প্রার্থীদের মধ্যে তিনিই সর্বকনিষ্ঠ। ১৯৯৩ সালে জন্মগ্রহণ করা এই রাজনীতিবিদ ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে সর্বকনিষ্ঠ প্রার্থী হিসেবে শেরপুর-১ আসন থেকে নির্বাচন করে সাড়া ফেলেছিলেন।

তিনি শেরপুর জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক হযরত আলীর মেয়ে। প্রিয়াঙ্কা ২০০৮ সালে এসএসসি পাস করেন। এইচএসসি পাস করেন ২০১০ সালে। এমবিবিএস পাস করেন ২০১৬ সালে। গত সোমবার দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

জেলা বিএনপি সূত্রে জানা যায়, দলীয় ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নে ও আগামী জাতীয় নির্বাচনে মানুষের প্রতি জনসমর্থন আদায় করতে মাঠে দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করছেন ডা. সানসিলা জেবরিন প্রিয়াংকা। গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের হামলা-ভাঙচুর উপেক্ষা করে তীব্র প্রতিরোধ ও প্রতিবাদ করে সারাদেশে আলোচিত হয়েছিলেন তিনি। এরই ধারাবাহিকতায় আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেরপুর-১ আসন থেকে দলীয় মনোনয়ন পেতে গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে চষে বেড়িয়েছেন দীর্ঘ সময়। দল তার জনপ্রিয়তার মূল্যায়ন করেছে। তবে মনোনয়ন বঞ্চিতদের নিযে আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই নির্বাচনি পরিকল্পনা করা হবে।

এ ব্যাপারে শেরপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও শেরপুর-১ আসন থেকে মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থী ডা. সানসিলা জেবরিন প্রিয়াংকা বলেন, আমি ২০১৮ সালে ধানের শীষের প্রতীক নিয়ে শেরপুর-১ আসন থেকে নির্বাচন করেছিলাম এবং সেই সময় আমি শেরপুর সদরের সর্বস্তরের মানুষের চোখে মুখে ধানের শীষের জনপ্রিয়তা ও ভালোবাসা দেখেছি। তারা মাত্র এক ঘণ্টা ভোটের সময়ের মধ্যে যে পরিমাণ ভোট আমাকে দিয়েছিল তা দেখেই বুঝা যায়, তারা ধানের শীষ এবং আমাকে কতোটা ভালোবাসেন। তারই পরিক্রমায় এবারও আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান আমাকে মনোনয়ন দিয়েছে। এর জন্য আমি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে ধন্যবাদ জানাই। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমি এই মনোনয়ন পেয়েছি। ২০১৮ সালে আমি সমস্ত বাংলাদেশে প্রতিবাদ করে ভোট কারচুপির প্রতিবাদ করেছিলাম। প্রতিবাদ করে শেরপুরকে চিনিয়ে দিয়েছিলাম। বুঝিয়ে দিয়েছিলাম আওয়ামী লীগ ভোট চুর।

তিনি মনোনয়নবঞ্চিতদের উদ্দেশ্যে বলেন, একটি আসনে একাধিক প্রার্থী থাকতে পারে। যেহেতু বিএনপি একটি বড় রাজনৈতিক দল। প্রতিযোগিতা থাকতেই পারে। আমাদের এখানেও একাধিক প্রার্থী ছিল। আমি বিশ্বাস করি প্রত্যেক প্রার্থীই ধানের শীষকে ভালোবাসে এবং মন থেকে দল করেন। কেন্দ্র যেহেতু আমাকে মনোনয়ন দিয়েছে আমি বিশ্বাস করব বাকি সব প্রার্থীরা আমাকে সহযোগিতা করবেন এবং ধানের শীষের পক্ষে কাজ করবে। ইনশাআল্লাহ শেরপুর সদর আসন থেকে এবার আমরা ধানের শীষকে বিজয়ী করব।

নারী কোঠায় প্রার্থীতায় আলোচনায় আসার ব্যাপারে তিনি বলেন, নারীদের কর্মসংস্থান বৃদ্ধিসহ তাদের জন্য আমার আলাদা কিছু পরিকল্পনা থাকবে। সেইসঙ্গে শিক্ষা, স্বাস্থ, যোগাযোগ ও কৃষিখাতকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে। এছাড়াও বড় বড় প্রকল্পে নারীদের বেশি অংশগ্রহণ করার সুযোগ তৈরি করা হবে। শেরপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম বলেন, গতকাল দলের মহাসচিব শেরপুরের ৩টি আসনেই প্রার্থী ঘোষণা করেছেন। তার মধ্যে নারী কোঠায় প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় উঠে আসা প্রিয়াংকা সবার চেয়ে ভালো অবস্থানে আছেন বলে মনে করি। তিনি বলেন, নারী নেত্রীর সব গুণাগুণ তার মধ্যে রয়েছে। আমরা আশা করি প্রিয়াংকা সর্ব্বোচ্চ পরিমাণ ভোট পেয়ে রেকর্ড অর্জন করবে। এছাড়াও তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে শেরপুরের ৩টি আসনই বিএনপির হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত