ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

সিরাজগঞ্জে ব্যবসায়ী হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন, গ্রেপ্তার চার

সিরাজগঞ্জে ব্যবসায়ী হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন, গ্রেপ্তার চার

সিরাজগঞ্জের সলংগা থানার চর ফরিদপুর গ্রামের চাঞ্চল্যকর গরু ব্যবসায়ী আব্দুল লতিফ (৪০) ক্লু-লেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে ডিবি পুলিশ। প্রবাসী চাচাতো ভাই মতির স্ত্রী শাহীনুর খাতুনের সঙ্গে ওই গরু ব্যবসায়ী ও তার ছোট ভগ্নিপতি রফিকুলের পরকীয়ার জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। এ ঘটনায় জড়িত নারীসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলো, ওই গ্রামের মাসুদ রানা, ফরিদুল ইসলাম, প্রবাসীর স্ত্রী শাহিনুর খাতুন ও দোস্তপাড়া গ্রামের নিহতের ভগ্নিপতি রফিকুল ইসলাম। ওসি (ডিবি) আবু সিদ্দিক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, উক্ত গ্রামের আমিনুল ইসলামের ছেলে গরু ব্যবসায়ী লতিফ গত ৯ নভেম্বর সন্ধ্যায় নিখোঁজ হয় এবং নিখোঁজের তিনদিন পর সকালে একই এলাকার ফুলজোড় নদী থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ব্যাপারে নিহতের বাবা বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করেন। এ মামলা দায়েরের পর পুলিশ সুপার ক্লু-লেস এ মামলার রহস্য উদঘাটনে একটি চৌকস তদন্ত টিম গঠনের নির্দেশ দেন। এ নির্দেশে গঠিত তদন্ত টিম তথ্যপ্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যেরভিত্তিতে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের শনাক্ত করতে সক্ষম হয় এবং গত সোমবার রাতে ডিবির এসআই নাজমুলের নেতৃত্বে ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গত মঙ্গলবার বিকালে তারা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। তাদের দেওয়া তথ্যর অনুযায়ী ওই প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে গরু ব্যবসায়ী লতিফের প্রায় ২ বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। এ সম্পর্ক চলাকালে শাহীনুরের কাছ থেকে ব্যবসার জন্য ২ লাখ টাকা ধার নেয় লতিফ এবং কিছুদিন পর শাহীনুর পাওনা টাকা ফেরত চাইলে লতিফ টাকা দিতে অস্বীকার করায় তাদের মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয়। এ অবস্থায় গরু ব্যবসায়ী ছোট ভগ্নিপতির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে এবং তাদের পরকীয়া প্রেমের পথে কাঁটা লতিফকে হত্যার পরিকল্পনা করেন শাহীনুর ও রফিকুল। এ পরিকল্পনা অনুযায়ী মাসুদ ও ফরিদুলকে ভাড়া করেন শাহীনুর। এ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ঘটনার দিন প্রবাসীর স্ত্রী নিজেই লতিফকে নদীর ঘাটে ডেকে নিয়ে যায় এবং সেখানে আগে থেকেই অন্যান্য আসামিরা অবস্থান করছিল।

এ সময় তাকে ঘুমের ওষুধ মেশানো কোমল পানীয় পান করানো হয়। এতে সে ঘুমিয়ে পড়লে আসামিরা তাকে শ্বাসরোধে হত্যার পর ওই নদীতে ফেলে দেয়। এদিকে এ নির্মম হত্যাকাণ্ডের মাত্র ছয়দিন পর রহস্য উদঘাটন করায় ডিবি পুলিশ এলাকায় প্রশংসিত হয়েছেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত