
পটুয়াখালীর দশমিনায় গত ২৩ মাসে পানিতে ডুবেছে ৬৮ জন শিশু। আর এরমধ্যে মারা গেছে ৩৭ জন শিশু। যাদের সিংহভাগের বয়স পাঁচ বছরের নিচে। জানা যায়, ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে চলতি নভেম্বর পর্যন্ত পানিতে ডোবার এ পরিসংখ্যান দশমিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের। মূলত পরিবারের বাবা-মায়ের অসচেতনতায় পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যুর হার বৃদ্ধির প্রধান কারণ বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের। উপকূলীয় নদীবেষ্টিত এ উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রাম-গঞ্জের বাড়িঘরের পাশেই পুকুর খনন করা হয়। ফলে, পরিবারের দায়িত্ববানরা যখন ব্যস্ত হয়ে যান এবং বিশ্রামে যান ঠিক তখনই শিশুরা তাদের অগোচরে খেলতে গিয়ে পুকুরে পড়ে যায়। এছাড়া সাঁতার না জানাসহ বিভিন্ন কারণে প্রতি। বছর অনেক শিশুর পানিতে ডুবে প্রাণহানি হচ্ছে।
অভিভাবকদের সচেতনতার তাগিদ দিয়ে দশমিনা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, যেসব শিশুরা নতুন হাঁটতে শেখে বা যাদের বয়স ১ থেকে পাঁচ বছরের নিচে তাদের পানিতে ডোবার পরিসংখ্যান সবচেয়ে বেশি।