ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

কুষ্টিয়ায় চালক নিহতের ঘটনায় মামলা

কুষ্টিয়ায় চালক নিহতের ঘটনায় মামলা

কুষ্টিয়ার কুমারখালী পৌরসভার সার্ভেয়ায়ের কিল-ঘুসিতে শহিদুল ইসলাম (৫৭) নামের এক গাড়িচালকের মৃত্যুর ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা করা হয়েছে। গত বুধবার রাতে নিহতের মেয়ে সুবর্ণা খাতুন পৌরসভার সার্ভেয়ার ফিরোজুল ইসলামকে আসামি করে মামলাটি করেন। এছাড়াও মামলায় অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে ২ থেকে তিনজনকে। নিহত শহিদুল পৌরসভার শেরকান্দি এলাকার প্রয়াত গঞ্জের আলীর ছেলে।

পুলিশ, মামলার এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৮৬৯ সালে নির্মিত প্রথম শ্রেণির কুমারখালী পৌরসভায় প্রায় ৫৭ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন। তারা প্রায় ৪২ মাসের ১০ কোটি টাকা বেতন পাবেন পৌর কর্তৃপক্ষের নিকট। গত বুধবার বকেয়া বেতনের দাবিতে গাড়ি চালক শহিদুল ইসলাম পৌরসভার বিভিন কক্ষের দরজা বন্ধ করে দেন। সে সময় ১১৫ নম্বর কক্ষের সার্ভেয়ার ফিরোজুলের কক্ষটি বন্ধ করতে যান। তখন ফিরোজুলের সঙ্গে শহিদুলের তর্কাতর্কির একপর্যায়ে কিলঘুষি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে পৌরসভায় কর্মরত অন্যান্যরা ফিরোজুলকে ১১৫ নম্বর এবং শহিদুলকে ১১৬ নম্বর কক্ষে আটকে রাখেন। কিছুক্ষণ পরে ১১৬ নম্বর কক্ষে গিয়ে পৌরসভায় কর্মতরা দেখেন শহিদুল পাকা মেঝেতে পড়ে আছেন। পরে তারা তাকে উদ্ধার করে সকাল ১০টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানকার চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় পৌরসভার শেরকান্দি এলাকার অভিযুক্ত ফিরোজুলের ভবনে ভাঙচুর চালিয়েছে নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী। ঘটনার পর থেকে ফিরোজুল পলাতক।

নিহতের মেয়ে মামলার বাদী সুবর্ণা খাতুন বলেন, আমার বাবার সম্প্রতি ওপেন হার্ট সার্জারি করা। গত বুধবার সকালে বেতন চাইতে গেলে পৌরসভার সার্ভেয়ার ফিরোজুল ইসলাম বাবাকে কিলঘুসি ও লাথি মারে হত্যা করে একটি কক্ষে আটকে রাখেন। আমি থানায় মামলা করেছি।

কুমারখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আমিরুল ইসলাম বলেন, গাড়িচালক শহিদুল মৃত্যুর ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। মামলায় একজনের নামে এবং দুই থেকে তিনজনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত