
সারা দেশের মতই শীত মৌসুমের শুরুতেই আমতলী উপজেলায়ও ছোট বড় হাট বাজারে আগাম শীতকালীন সবজিতে ভরে উঠেছে। আমতলী পৌরসভার একেস্কুল সবজির বাজার, বাঁধঘাট সবজি বাজার দুটোই আমতলী উপজেলায় সবচেয়ে বড় বাজার। এ বাজারে দুর থেকে অনেক সবজি কিনতে আসে অনেক ক্রেতা। তবে কিছু ক্রেতারা বলেন সবজির দামে আগুন এমনটাই অভিযোগ উঠেছে সবজি বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে। সরাসরি খেত থেকে যেসব সবজি উপজেলার বাজারগুলোতে বিক্রি করছেন। ওইসব সবজির দাম তুলনামূলক একটু কম। তবে সবচেয়ে বেশি সবজি বিক্রি হচ্ছে উত্তর অঞ্চল থেকে দক্ষিণ অঞ্চলের পাইকাররা কিনে এনে যারা ব্যবসা করছেন। এ কারণে বাজারে সবজির দামে ক্রেতারা দিশেহারা হয়নি। বাজার দর সহনীয় মাত্রায় রয়েছে। গতকাল বুধবার আমতলী পৌরসভার সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আমতলী পৌরসভা, মহিষকাটা, গাজীপুর, আরপাংগাশিয়া, চিলা বিশ্বাসের হাট, কুকয়া বাজারসহ ছোট বড় অনেক বাজারে এ ধরনের সবজি বিক্রি হচ্ছে। তবে সব বাজারগুলোতেই একই ধরনের সবজি পাওয়া যাচ্ছে। দামে একটু বেশি হলেও ক্রেতাদের মনে আফসোস নেই, কেননা তারা অগ্রিম শীতকালীন সবজি খেতে পারছে।
জানাগেছে, উত্তর অঞ্চল থেকে দক্ষিণ অঞ্চলেও ব্যাপক সবজি আমদানি করা হয়। তবে এ সবজিগুলো প্রায় বারোমাসি পাওয়া যায়। এরমধ্যে কিছু সবজি রয়েছে যেগুলো শীতকালীন সবজিতে পরিচিতি। তবে কৃষকরা ও ভালো দামের প্রত্যাশা করেন। এতে আগাম সবজি চাষে বাম্পার ফলন পাবেন এমনটাই দাবি আগাম সবজি চাষিদের। ভালো দামের আশায় হাড়ভাঙা খাটুনি খেটে বেশি বেশি সবজি চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। প্রতিবছরই আগাম সবজি চাষিরা অধিক লাভে সবজি বিক্রি করে আসছেন। এর ধারাবাহিকতা বজায় রেখে এবারও আগাম সবজি চাষিরা বাম্পার ফলন ঘটিয়েছে।
প্রান্তিক কৃষকেরা এবার শীত মওসুমের আগেই কাঁচামরিচ ১১০-১২০ টাকা, ফুলকপি ৭০-৮০, মুলা, বাঁধাকপি ৭০-৮০, পটল, শিম ১২০-১৩০, টমেটো ৪০-৫০, করল্লা-৪০-৬০ বেগুন ৫০-৬০, ধনিয়া ১০ টাকা মুঠি, লাউ ৩০-৭০ টাকা পর্যন্ত, ধুন্দুল ৪০-৫০ টাকাসহ নানা জাতের সবজি বাজারে আসতে শুরু করেছে। আমতলী উপজেলার, গুলিশাখালী, চাওড়া ইউনিয়নের চন্দ্রা, পাতাকাটা, আমতলী সদর ইউনিয়নের নাচনাপারা, হলদিয়া ও আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের কৃষক মজিবরের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, পুরো শীতে মৌসুমে সবজির অধিক দাম পাওয়া যায়। কারণ বর্ষা মওসুমের পরে, সবজির বাজার চড়া থাকে, সে কারণে সচেতন কৃষকেরা বৃষ্টি উপেক্ষা করে সবজি চাষে মনযোগী থাকেন। তাই ফলন ভালো হয় এবং সবজি বিক্রি করে দামও ভাল পাওয়া যায়।
সবজি বিক্রেতা দ্বিলিপ বলেন, আমরা প্রতি বছরই আগাম শীতকালীন সবজি বিক্রি করলে একটু বেশি লাভ পাই। আমাদের সবজি বেশি দামে বিক্রি না করলে আমরা দোকান ভাড়া দিয়ে থাকতে পারি না। গুলিশাখালীর কৃষক ফরিদ ও সাইদুল জানান, সবজি চাষে আমার সংসারে সফলতা এসেছে। তিনি বলেন, তার সবজি নিয়ে বাজারে যেতে হয় না, পাইকারেরা খেত থেকেই ন্যায্য দামে কিনে নিয়ে যায়।
আমতলী উপজেলা কৃষি অফিসার মো. রাসেল বলেন, আমতলী উপজেলায় রবি মৌসুমে শীতকালীন সবজির লক্ষ্যমাত্রা ৭৭৩ হেক্টর তার ভিতরে এরইমধ্যে ৩১৫ হেক্টর জমিতে শীতকালের সবজির আবাদ হয়েছে।