ঢাকা মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১ পৌষ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

‘নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র করলে জনগণ প্রতিরোধ করবে’

‘নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র করলে জনগণ প্রতিরোধ করবে’

কেউ নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র করলে জনগণ সরাসরি প্রতিরোধ করবে বলে মন্তব্য করেছেন সুপ্রিম কোর্ট বার আইনজীবী সমিতির সভাপতি এবং বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। তিনি জামায়াতকে উদ্দেশ করে বলেন, জামায়াত ইসলাম ২০১৮ সালে ধানের শীষে প্রতীকে নির্বাচন করেছে। তাদের মার্কা ছিল না। বিএনপি দয়া করেছিল বলে তারা নির্বাচন করতে পেরেছে। জামায়াত বারবার জোট পরিবর্তন করেছে। বিএনপির সঙ্গে না থাকার কারণে আওয়ামী লীগ আমলে জামায়াতের অনেক নেতার ফাঁসি হয়েছে। জামায়াত একেক সময় একেক ধরনের কথা ও কাজ করা তাদের নীতিতে পরিণত হয়েছে। নির্বাচন শুধু একটি প্রক্রিয়া নয়। এটি জাতির ভবিষ্যৎ নির্ধারণে জনগণের সর্বোচ্চ শক্তির প্রকাশ। কিন্তু যখন এই প্রক্রিয়া বিতর্কিত শক্তির প্রভাবে প্রভাবিত হয়। প্রশ্নবিদ্ধ দলগুলোকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক হিসাব-নিকাশ তৈরি হয়। তখন জনগণ বিভ্রান্ত হয়, রাজনীতি দুর্বল হয় এবং গণতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরে আসায় জনগণের মধ্যে ভোটের অধিকার ও স্বস্তি ফিরে এসেছে। তাই সবাইকে নিঃসংকোচে ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার আহ্বান জানান তিনি। বিএনপি একটি গণতান্ত্রিক দল হিসেবে যেকোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীর ক্ষেত্রে জনগণের প্রত্যাশা, মূল্যবোধ এবং রাজনৈতিক গ্রহণযোগ্যতাকে গুরুত্ব দিয়ে এসেছে। আমি বিশ্বাস করি গণতন্ত্রের রাজনীতিতে জনগণের আস্থা সবচেয়ে বড় সম্পদ, আর সেই আস্থা নষ্ট হওয়া মানে রাজনীতির ভিত্তিই দুর্বল হয়ে যাওয়া।

নির্বাচনের ক্ষেত্রে বিএনপির প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে এমন একটি প্রক্রিয়া নিশ্চিত করা, যেখানে জনগণ অবাধে, নির্ভয়ে এবং নিরপেক্ষ পরিবেশে ভোট দিতে পারে। এমন পরিবেশ না থাকলে কোনো নির্বাচনেরই গ্রহণযোগ্যতা থাকে না। আর ভোটের রাজনীতি কখনই অন্ধ সমর্থন বা মিত্রতার উপর দাঁড়িয়ে থাকতে পারে না। এটি জনগণের ইচ্ছা, জনগণের মূল্যবোধ এবং দেশের ভবিষ্যৎ দায়িত্ববোধের উপর দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। সুতরাং বিএনপি কোনো বিশেষ গোষ্ঠীর সঙ্গে আপস করে রাজনীতি করতে চায় না। বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে সামনের নির্বাচনে বিএনপি বিপুল ভোটে জয় লাভ করবে বলে তিনি বিশ্বাস করেন।

বিএনপি দেশের সবচেয়ে বৃহৎ একটি রাজনৈতিক দল। দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনা এবং রাষ্ট্রযন্ত্রকে জনগণের কাছে জবাবদিহিমূলক করা নিয়ে ১৭ বছর নির্যাতন, গুম, খুন, মামলার হয়রানি শিকার হয়েছে। রাজনীতিতে যে দল বা ব্যক্তি বিভাজন সৃষ্টি করে, সাম্প্রদায়িক বৈষম্য বাড়ায় বা দেশের ইতিহাস ও স্বাধীনতার চেতনার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়, সেই শক্তির সঙ্গে বিএনপির আদর্শগত অবস্থান কখনই মিলতে পারে না। নির্বাচন হবে জনগণের; গণতন্ত্র হবে জনগণের; আর রাজনীতিও পরিচালিত হবে জনগণের প্রত্যাশায় কারো সুবিধা বা জোটের নয়।

গত শুক্রবার নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ি উপজেলার চাষীরহাট ইউনিয়নে ধানের শীষের পক্ষে গণসংযোগ ও কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব মন্তব্য করেন তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সোনাইমুড়ী উপজেলা বিএনপি আহ্বায়ক দিদার হোসেন দিদার, সদস্য সচিব কুতুব উদ্দিন সানি, সোনাইমুড়ী পৌরসভা বিএনপির আহ্বায়ক মোতাহের হোসেন মানিক, সদস্য সচিব রাব্বি মাহবুবসহ বিএনপির অঙ্গসংগঠনের নেতারা।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত