
পৌষের প্রথম সপ্তাহে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ, আর কুয়াশায় চুয়াডাঙ্গা জীবননগর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বোরো বীজতলা ক্ষতির মুখে পড়েছে। কোল্ড ইনজুরিতে আক্রান্ত হয়ে অনেক বীজতলা নষ্ট চারা গুলি হলুদ বির্বণ হয়ে যাচ্ছে, এতে করে অনেক বীজতলা নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে। গতকাল শনিবার উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ঘুরে দেখা গেছে, বোরো চাষিরা বোরো ধানের বীজের চারাগুলোকে রক্ষার জন্য কেউ বা কুয়াশার বালাইনাশক স্প্রে করছেন আবার অনেক কৃষক বিকালে বীজতলায় পানি সেচ দিয়ে আবার সকাল বেলায় জমি থেকে পানি বের করে দিচ্ছেন যাতে করে চারাগুলো সতেজ থাকে।
উপজেলার গঙ্গাদাশপুর, কয়া, মনোহরপুর গ্রামের কৃষকরা জানান, কয়েক দিনের শৈত্যপ্রবাহে চারাগুলো হলুদ হয়ে যাচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে চারাগুলো আবার মরে যাচ্ছে।
কোল্ড ইনজুরিতে আক্রান্ত হয়ে বীজতলায় চারা লালচে বর্ণ ধারণ করে উপরের দিক থেকে শুকিয়ে মরতে শুরু করে। ফলে বীজতলায় চারা উৎপাদন নিয়ে কৃষকেরা বিপাকে পড়েছেন।
জীবননগর উপজেলায় চলতি বোরো মৌসুমে ২৭৮ হেক্টর জমিতে বোরো বীজতলা তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। এবার উপজেলায় ৫ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
জীবননগর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেন, গত কয়েক দিনের মাঝারি শৈতপ্রবাহে বীজতলার তেমন ধরণের ক্ষতির সম্ভাবনা নেই।
বীজতলা রক্ষার জন্য প্রতিদিন সন্ধ্যায় বীজতলার পানি জমিয়ে সকালে ছেড়ে দিতে হবে। এতে করে বোরো বীজতলার ক্ষতি হওয়ার কোনো কারণ নেই। কৃষি বিভাগ কৃষকদের সার্বক্ষণিক পরামর্শ দিচ্ছেন।