ঢাকা রোববার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ৬ পৌষ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

শোকে স্তব্ধ হাদির গ্রামের বাড়ি ঘাতকের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি

শোকে স্তব্ধ হাদির গ্রামের বাড়ি ঘাতকের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি

দক্ষিণের জেলা ঝালকাঠিতে শোকে স্তব্ধ শরিফ ওসমান হাদির গ্রামের বাড়ি। হাদিশূন্য তার বসতভিটায় ভিড় করছেন চেনা-অচেনা বহু মানুষ। শোকের মাতুম চলছে তার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঝালকাঠির এসএস কামিল মাদরাসায়। শেষবার মত দেখতে না পারার আক্ষেপ রয়ে গেছে গ্রামবাসী। তবে দ্রুত সময়ের মধ্যে হত্যারকারির সর্বোচ্চ বিচার দাবি করেছে জেলাবাসী। ঝালকাঠি প্রতিনিধি অলোক সাহার প্রতিবেদন।

সুগন্ধা নদীর তীরে গড়ে ওঠা শহর নলছিটির টিনসেড এই ঘরেই ১৯৯৩ সালের জন্ম নিয়েছিলেন শরিফ ওসমান হাদি। নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান হাদির বেড়ে ওঠা এখানেই। বাবা মাওলানা আবদুল হাদি ও মা তাসলিমা হাদির ঘরে ৬ সন্তানের মধ্যে হাদি ছিলেন সবার ছোট। ছিলেন অনেক আদরের।

তার শিক্ষক, সহপাঠি ও এলাকাবাসী জানান, শৈশব থেকেই হাদি ছিলেন প্রতিবাদের এক কন্ঠস্বর। ২০০০ সালে ঝালকাঠির নেছারাবাদ এনএস কামিল মাদ্রাসায় চতুর্থ শ্রেণিতে ভর্তি হন তিনি। সেখান থেকে ২০০৭ সালে দাখিল ও ২০০৯ সালে আলীম শেষ করেন। তখন জেলা পর্যায়ে অনেক পুরস্কার অর্জন করেছেন তিনি। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমির পাঠ চুকান। স্বজনদের পাশাপাশি গ্রামবাসী, শিক্ষক ও সহপাঠীদের কাছে হাদি যেন কেবল একটি নাম নয়, চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেয়ায় প্রতিষ্ঠানের প্রতিচ্ছবি হয়েছেন। তাইতো তার নিহতের ঘটনা মানতে পারছেনা কেউই। হাদির মৃত্যুর খবর শুনে চেনা, অচেনা বহু মানুষ ভিড় করেন তার ঘরের সামনে। নলছিটিতে থাকা হাদির বোন আর ভগ্নপতি ঢাকা চলে যাওয়া বাড়িটি এখন শূন্য পড়ে আছে। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ওসমান হাদির শেষ ইচ্ছে ছিলো তাকে যেন তার বাবার কবরের পাশে করা হয় সমাহিত।

তবে সে সিদ্ধান্ত এখন বাস্তবায়ন হয়নি। শেষবারের মত ওসমান হাদিকে দেখতে পারছেন না ঝালকাঠিবাসী। বিপ্লবী ওসমান হাদির হত্যায় সারা দেশের মত উত্তাল হয়ে ওঠে তার নিজ জেলা ঝালকাঠি। ঘাতকের বুলেট কেরে নিয়েছে বিপ্লবী শরিফ ওসমানকে। তবে তিনি হাজার বছর বেঁচে থাকবেন তার কর্মের মধ্যে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত