ঢাকা রোববার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ৬ পৌষ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

সিআইপি’র তালিকায় রাউজানের আটজন

সিআইপি’র তালিকায় রাউজানের আটজন

বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য সিআইপি’র স্বীকৃতি পেয়েছেন ৮৬ প্রবাসী বাংলাদেশী। এর মধ্যে চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার ৮ জন সিআইপি স্বীকৃতি পেয়েছে। এসব প্রবাসীকে বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে নির্বাচিত করেছে সরকারের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। এই স্বীকৃতি দেওয়া হয় ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠানোর জন্য। তিন ক্যাটাগরিতে ২০২৬ সালের জন্য তাদেরকে সিআইপি নির্বাচিত হয়েছে।

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় থেকে সিআইপি নির্বাচনের প্রজ্ঞাপন জারি করার পর গত

রোববার ১৪ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয় সিআইপি সনদ বিতরণ। ঢাকায় ‘আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাদের হাতে এ মর্যাদাপূর্ণ সনদ তুলে দেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। জানা যায় মোট তিন ক্যাটাগরীতে বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বা সিআইপি নির্বাচন করা হয়। এবার দেশে শিল্প ক্ষেত্রে সরাসরি বিনিয়োগকারী অনিবাসী বাংলাদেশি ক্যাটাগরিতে একজন, বৈধ চ্যানেলে সর্বাধিক বৈদেশিক মুদ্রা প্রেরণকারী অনিবাসী বাংলাদেশি ক্যাটাগরিতে ৭৫ জন ও বিদেশে বাংলাদেশি পণ্যের আমদানিকারক অনিবাসী বাংলাদেশি ক্যাটাগরিতে ১০ জনসহ সর্বমোট ৮৬ প্রবাসীকে সিআইপি নির্বাচন করা হয়েছে। এই তালিকায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) প্রবাসীরা সিআইপি মর্যদা প্রাপ্তদের সংখ্যায় বেশি। এই দেশের প্রবাসীদের মধ্যে সিআইপি নির্বাচিত হয়েছেন ৪১ জন। এর বাইরে ওমান হতে সাতজন, যুক্তরাজ্য হতে ছয়জন এবং যুক্তরাষ্ট্র ও কাতার হতে পাঁচজন করে নির্বাচিত হয়েছেন। অন্য ২৭ জন প্রবাসীর মধ্যে আছেন সৌদি আরব, হংকং, অস্ট্রেলিয়া, জাপান ও সিঙ্গাপুরের। দেশের মধ্যে সিআইপির তালিকায় রয়েছে চট্টগ্রামের ৩৪ জন। এই জেলার অধীনস্থ উপজেলার দিক থেকে শীর্ষস্থানে আছেন হাটহাজারী (নয়জন) ও দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে রাউজান (আটজন)। এছাড়া নির্বাচিতদের মধ্যে আছেন চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি, সাতকানিয়া, পাঁচলাইশ, পটিয়া, চান্দগাঁও, চকবাজার এলাকার প্রবাসীগণ।

জানা যায় বাংলাদেশে বৈধ চ্যানেলে সর্বাধিক বৈদেশিক মুদ্রা প্রেরণকারী অনিবাসী বাংলাদেশি ক্যাটাগরিতে আরব আমিরাত থেকে সিআইপি হিসেবে নির্বাচিতদের মধ্যে রয়েছেন চট্টগ্রামের রাউজান থেকে রয়েছেন নজরুল ইসলাম, মোহাম্মদ সেলিম, সেলিম উদ্দিন, আলহাজ্ব মোহাম্মদ জাফর আহমদ, মো. ওসমান আলী, ফরিদুল আলম ও হাসান মোরশেদ।

চট্টগ্রামের হাটহাজারীর মোহাম্মদ রুবেল, সাইফুল ইসলাম, মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, মোহাম্মদ খালেদ, আবুল হাসেম, নিজাম উদ্দিন ও নূর নবী। চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির ওসমান গণি, সাতকানিয়ার মহিউদ্দীন তালুকদার ও শহিদুল ইসলাম। চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থেকে সিআইপি হয়েছেন মাহাবুল আলম ও শেখ আবদুল আজাদ, পটিয়ার মুহাম্মদ আবুল বছর ও আবছার উদ্দিন, চান্দগাঁওয়ের মনজুরুল হক চৌধুরী ও আমিনুল হক এবং চকবাজারের শফিকুল ইসলাম রাহী।

উল্লেখ্য যে, নির্বাচিত সিআইপিরা আগামী দুই বছর রাষ্ট্রীয় নানা সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবেন। এসব সুবিধার মধ্যে রয়েছে সচিবালয়ে প্রবেশের পাস, জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ দিবসের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ, বিমান-রেল ও সড়কপথে আসন সংরক্ষণে অগ্রাধিকার, বিমানবন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ ‘চামেলী’ ব্যবহারের সুবিধা এবং নিজের ও পরিবারের সুচিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতালে কেবিন সুবিধা।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত