
গাজীপুরের শ্রীপুরে ফরিদ সরকার নামে এক জাসাস নেতাকে মোবাইল ফোনে ইটভাটায় ডেকে নিয়ে এলোপাতাড়িভাবে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল বুধবার সকালে শ্রীপুর উপজেলার গোসিংগা ইউনিয়নের কেবিএম ব্রিকস নামে এক ইটভাটায় তাকে হত্যা করা হয়। নিহত ফরিদ সরকার গোসিংগা ইউনিয়নের নারায়ণপুর গ্রামের জামাল উদ্দিন সরকারের ছেলে। তিনি গোসিংগা ইউনিয়নের জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস) এর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
নিহতের বাবা জামাল উদ্দিন সরকার জানান, গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে খাবার খেয়ে ফরিদ বাড়ি থেকে বের হয়। তাকে জিজ্ঞাসা করলে গোসিংগার কেবিএম ব্রিকসে যাওয়ার কথা বলে। ফরিদ কেবিএম ব্রিকস কারখানায় মাটি সরবরাহ করত। সকালে সবুজ মেম্বারের মাধ্যমে জানতে পারেন ফরিদ সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন। এ খবর পেয়ে তিনি ইটভাটায় এসে দেখেন ফরিদ মাটিতে পড়ে আছেন। তার গায়ে ধারালো অস্ত্রের একাধিক আঘাত ছিল। পরে তিনি তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর গাজীপুর শহিদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কেবিএম ব্রিকস কারখানার কর্মচারী জাকির হোসেন এবং মিনারুল বলেন, রাত ২টার দিকে তারা ইট ভাটায় কাজ করছিলেন। এ সময় ফরিদ সরকার ইটভাটায় আসেন। রাত ৩টার দিকে কয়েকজন লোক রাম দা এবং লাঠিসোঁঠা নিয়ে ইটভাটায় এসে ফরিদকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও পেটানো শুরু করে। আমরা ভয়ে ইটভাটার পাশে থাকার ঘরে গিয়ে দরজা বন্ধ করে লুকিয়ে থাকি। তখন শুধু কান্না এবং কোপানোর চিৎকার শুনতে পাই।
কেবিএম ব্রিকসের ম্যানেজার (ব্যবস্থাপক) প্রদীপ সরকার বলেন, আমি অফিস কক্ষে ঘুমিয়ে ছিলাম। ভোর ৪টার দিকে তর্কাতর্কি এবং চিৎকার শুনে বের হয়ে দেখি একটি ছেলে অফিসের সামনে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। স্থানীয় মেম্বারকে মোবাইল ফোনে ঘটনাটি জানালে ফরিদ সরকারের স্বজনেরা এসে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। শ্রীপুর থানার ওসি নাসির আহমদ বলেন, ইটখলায় এক যুবককে হত্যার খবর শুনে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। ঘটনার কিছু আলামত আমরা সংগ্রহ করেছি।