
কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলায় ফাজিল স্নাতক (অনার্স) পরীক্ষা কক্ষে প্রকাশ্যে নকলের অভিযোগে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে উপজেলা প্রশাসন। শিক্ষকের উপস্থিতিতেই শিক্ষার্থীরা বই-খাতা খুলে উত্তর লেখার অভিযোগ ওঠার পর বিষয়টি তদন্তে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তিন সদস্যের এই তদন্ত কমিটি গঠন করেন। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সৈয়দ মো. তৈয়ব হোসেনকে আহ্বায়ক করে গঠিত কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন- সদর দক্ষিণ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শামীম ইকবাল ও উপজেলা আইসিটি কর্মকর্তা রিয়াজ উদ্দিন। কমিটিকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার বিষয়টি জানান সদর দক্ষিণ উপজেলার ইউএনও সুজন চন্দ্র রায়। এর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিও ঘিরে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়। প্রায় আড়াই মিনিটের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, পরীক্ষা কক্ষে শিক্ষার্থীরা নির্বিঘ্নে বই-খাতা খুলে পরীক্ষার খাতায় লিখছেন। অনুসন্ধানে জানা যায়, ভিডিওটি কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার পিপুলিয়া ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসার ফাজিল স্নাতক (অনার্স) পরীক্ষা কেন্দ্রের।
মাদ্রাসা সূত্রে জানা গেছে, ওই কেন্দ্রে ফাজিল স্নাতক (অনার্স) প্রথম থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত পরীক্ষা চলছিল। গত রোববার প্রথম ও তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষায় ৪৪ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন। অভিযোগ রয়েছে, পরীক্ষা কেন্দ্রটি নিজ প্রতিষ্ঠানে হওয়ায় দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকেরাই শিক্ষার্থীদের বই খুলে উত্তর লেখার সুযোগ করে দেন। এ বিষয়ে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক সৈয়দ মো. তৈয়ব হোসেন বলেন, তদন্ত কার্যক্রম এরইমধ্যে শুরু হয়েছে। সংশ্লিষ্ট মাদ্রাসার অধ্যক্ষকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। সব অভিযোগ ও তথ্য যাচাই-বাছাই করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।