মারণাস্ত্র ব্যবহার করে নির্বিচারে গুলির নির্দেশ দেওয়া শেখ হাসিনার ফোনালাপের আন্তর্জাতিক ভেরিফিকেশন মামলার স্বচ্ছতা বাড়াবে বলে মন্তব্য করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম। ওই বক্তব্য ডকুমেন্ট আকারে ট্রাইব্যুনালে উপস্থাপন করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
ফাঁস হওয়া অডিওতে মারণাস্ত্র ব্যবহার করে শেখ হাসিনার নির্বিচারে গুলি চালানোর ফোনালাপ নিয়ে বিবিসির ভেরিফিকেশনের বিষয়ে গতকাল বুধবার গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে এমনটা জানান তিনি।
প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম বলেন, শেখ হাসিনার বেশ কয়েকটি অডিও বক্তব্যের আগে পুলিশের ক্রাইমস ইনভেস্টিগেশন টিম পরীক্ষা করেছে। তারাও ফরেনসিক সত্যতা পেয়েছে, এসব ফোনালাপ হাসিনারই। তারপরও আন্তর্জাতিক সংস্থা নতুন করে পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ করে যে রিপোর্ট দিয়েছে, তা মামলার অভিযোগ প্রমাণে গুরুত্বপূর্ণ দলিল হবে। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে হত্যা মামলার অভিযোগ গঠনের বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার আদেশ দেবেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। শেখ হাসিনা ছাড়াও এ মামলার অপর ২ আসামি হলেন- সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন। আদালত অভিযোগ গঠনের আদেশ দিলে সেখানে অন্যান্য ডকুমেন্টের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট হবে শেখ হাসিনার ফোনালাপের আন্তর্জাতিক ভেরিফিকেশন।
এর আগে গত ৮ জুলাই বিবিসির এক প্রতিবেদনে ২০২৪ সালের জুলাই অভ্যুত্থানে বাংলাদেশে ছাত্রদের নেতৃত্বাধীন বিক্ষোভ দমন অভিযানে ফাঁস হওয়া অডিও কলে শেখ হাসিনার সরাসরি গুলি চালানোর নির্দেশের সত্যতা নিশ্চিত করা হয়। গত মার্চে অনলাইনে ফাঁস হওয়া ওই অডিওটিতে শেখ হাসিনাকে বলতে শোনা যায়, ‘প্রয়োজনে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করো। যেখানে পাবে, গুলি করবে।’ বিবিসির তথ্যমতে, বাংলাদেশ সরকারের টেলিযোগাযোগ নজরদারি সংস্থা এনটিএমসি কর্তৃক করা এই কলটি রেকর্ড করা হয়েছিল। কলটি শেখ হাসিনার ঢাকার বাসভবন গণভবন থেকে ১৮ জুলাই করা হয় বলে নিশ্চিত করেছে একটি সূত্র।