ঢাকা বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫, ২৫ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

ফিলিস্তিনি-লেবানিজদের যন্ত্রণাই এখন টের পাচ্ছে ইসরায়েলিরা

ফিলিস্তিনি-লেবানিজদের যন্ত্রণাই এখন টের পাচ্ছে ইসরায়েলিরা

ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে ক্রমবর্ধমান যুদ্ধ পরিস্থিতিকে ‘দীর্ঘ ও ভয়াবহ’ আখ্যা দিয়ে সামরিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক এলিজা ম্যাগনিয়ার বলেছেন, ইসরায়েলি সমাজ এখন সেই ধ্বংসযজ্ঞের স্বাদ পাচ্ছে, যা বহু দশক ধরে ফিলিস্তিনি ও লেবানিজ জনগণের নিত্যদিনের বাস্তবতা। তিনি মনে করেন, যুদ্ধ আরও বাড়বে, তবে বিপুল ক্ষয়ক্ষতির মুখে ইসরায়েলিদের যুদ্ধপ্রীতি শিগগিরই ম্লান হয়ে যেতে পারে।

সামরিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক এলিজা ম্যাগনিয়ার মনে করছেন, ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে চলমান শত্রুতা আরও তীব্র হবে। তবে তিনি সতর্ক করেছেন, সংঘাত যত গভীর হবে, ততই এই যুদ্ধের প্রতি ইসরায়েলি সমাজের সমর্থন কমে যেতে পারে। আল জাজিরাকে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি যুদ্ধ আরও বাড়বে, কারণ এটি ইসরায়েল ঘোষিত ইরান যুদ্ধের শুরু মাত্র।’ ‘ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী, সামরিক বাহিনী- সবাই নিজ দেশের জনগণকে আগেই সতর্ক করেছে যে এই যুদ্ধ হবে দীর্ঘ এবং এর মূল্য হবে ভয়ানক। কিন্তু যেসব মানুষ বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর পেছনে দাঁড়িয়ে ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধকে সমর্থন করেছে, তারা এই মাত্রার ধ্বংসযজ্ঞ কল্পনাও করেনি। ১৯৭৩ সালের পর ইসরায়েল আর কোনো দেশের সঙ্গে এমন যুদ্ধ করেনি এবং কখনোই এভাবে দেশের ভেতরে, তেল আবিবের কেন্দ্রে এত বড় হামলার মুখোমুখি হয়নি।’

প্যারিস থেকে তিনি আরও বলেন, ‘এখন ইসরায়েলিরা বুঝতে পারছে ফিলিস্তিনিরা কীভাবে দীর্ঘদিন ধরে কষ্ট পাচ্ছে, লেবানিজ জনগণ কী ধরনের ধ্বংসের মুখে পড়েছে। তারা এখন নিজের চোখে দেখতে পাচ্ছে তেল আবিব ও হাইফার মতো শহরে ধ্বংসস্তূপ, জ্বলন্ত ভবন, নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়া সম্পদ।’ ‘মাত্র একদিনে ৮ জন নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে ২৫০ জন- এমন ঘটনা ইসরায়েলের ইতিহাসে বহু বছরেও শোনা যায়নি। ইসরায়েলি সমাজ এই ধরনের পরিস্থিতির জন্য মোটেই প্রস্তুত ছিল না,’ যোগ করেন ম্যাগনিয়ার।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত