ঢাকা মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

চট্টগ্রাম বন্দরকে ব্যবসাবান্ধব করতে হবে, চট্টগ্রাম বাঁচলে দেশ বাঁচবে

বললেন চসিক মেয়র
চট্টগ্রাম বন্দরকে ব্যবসাবান্ধব করতে হবে, চট্টগ্রাম বাঁচলে দেশ বাঁচবে

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, চট্টগ্রাম বন্দরকে ব্যবসাবান্ধব করতে হবে। দেশের আমদানি রপ্তানি বাণিজ্যের সিংহভাগ পরিচালিত হয় এই বন্দর ঘিরে। তাই বন্দরকে ঘিরে যারা ব্যবসা করছেন, তাদের যথাযথ সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। চট্টগ্রাম বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে। তিনি চট্টগ্রাম কাস্টমস এজেন্টস এসোসিয়েশনের সঙ্গে আগ্রাবাদ সিএন্ডএফ টাওয়ারস্থ এসোসিয়েশন কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ‘আমদানি রপ্তানি সংক্রান্ত সিএন্ডএফ কার্যক্রমে বিদ্যমান বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতাসমূহ নিরসন’ বিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন এসোসিয়েশনের সভাপতি এসএম সাইফুল আলম এবং সঞ্চালনায় ছিলেন সাংস্কৃতিক সম্পাদক মো. শফিউল আজম খান।

সভাপতি এসএম সাইফুল আলম বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর দেশের অর্থনীতির হৃদপিন্ড। দুই হাজার আট শতাধিক সিএন্ডএফ এজেন্ট ও তাদের আট হাজারের বেশি কর্মচারী আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত থেকে নিরলসভাবে কাজ করে রাজস্ব আদায়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। তিনি বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে সিএন্ডএফ এজেন্টদের বিরূদ্ধে যেসব কালো আইন করা হয়েছে তা বাতিলে মেয়রের সহযোগিতা চান। তিনি মেয়রের কাছে সিএন্ডএফ এজেন্টদের ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু ও নবায়নের জন্য এসোসিয়েশন কার্যালয়ে একটি সিটি কর্পোরেশন বুথ স্থাপনের দাবী জানান।

তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে বিদ্যমান সমস্যা সমাধানে সব স্টেকহোল্ডারকে এক প্ল্যাটফর্মে আনতে হলে পোর্ট ইউজারস ফোরাম কার্যকর করা জরুরি। এ লক্ষ্যে তিনি মেয়রকে পোর্ট ইউজারস ফোরামের দায়িত্ব গ্রহণের আহ্বান জানান, যেন মেয়রের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধভাবে বন্দর সংক্রান্ত সমস্যা নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হয়। এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. শওকত আলী বলেন, মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর নগরের নালা-নর্দমা ও খালসমূহ পরিষ্কারে ত্বরিত পদক্ষেপের ফলে এ বছর নগরবাসী জলাবদ্ধতার কষ্ট থেকে রেহাই পেয়েছে। এজন্য তিনি মেয়রকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি আমদানি-রপ্তানি সংক্রান্ত সিএন্ডএফ কার্যক্রমে বিদ্যমান বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতাসমূহ তুলে ধরে বন্দরের চারগুণ হারে স্টোররেন্ট কমানো, অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সার্ভার সমস্যা, বাজেটে বিভিন্ন এইচএসকোড পরিবর্তনে শুল্কায়ন সমস্যা, স্টীভিডোরদের একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ, শ্রমিক সরবরাহে অনিয়ম ও বকশিস দাবি, বন্দর গেইট এলাকায় যানজট নিরসন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ওজন স্কেল সমস্যা ইত্যাদি বিষয়ে মেয়রের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। তিনি বলেন, চট্টগ্রামের উন্নয়ন মানে বাংলাদেশের উন্নয়ন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত