ঢাকা ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সুসংবাদ প্রতিদিন

সরিষার বাম্পার ফলন

সরিষার বাম্পার ফলন

আমন ধান ঘরে তোলার পরপরই চাঁদপুরের কৃষকের ব্যস্ত সরিষা চাষবাদ নিয়ে। এ অঞ্চলের কৃষকরা এবার সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করে বাম্পার ফলনের প্রত্যাশা করছেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর চাঁদপুর অফিস সূত্রে জানা যায়, এ জেলার ৮ উপজেলায় রবি মৌসুমে সরিষার উফশী ও স্থানীয় জাতের আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৯৫০ হেক্টর জমি। যার মধ্যে লক্ষ্যমাত্রা চাঁদপুর সদরে ৪৬০ হেক্টর, মতলব উত্তরে ১৫০০ হেক্টর , মতলব দক্ষিণে ২৯৫ হেক্টর, হাজীগঞ্জে ৬৫০ হেক্টর, শাহরাস্তিতে ২৮৫ হেক্টর, ফরিদগঞ্জে ১৬০ হেক্টর ও হাইমচরে ২১৫ হেক্টর জমি। জানা যায় , চলতি ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে রবি মৌসুমের শীতকালীন আবাদে ৮ উপজেলার সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে ৩৯৫০ হেক্টর জমি। এরই মধ্যে আবাদের অগ্রগতি হয়েছে ৩৬২৭ হেক্টর জমিতে। উফশী জাতের করা হয়েছে ৩৬০২ হেক্টর ও স্থানীয় জাতের করা হয়েছে ২৫ হেক্টর জমি। আশা করা যাচ্ছে আবহাওয়াসহ সার্বিক দিক অনুকূলে থাকলে এই অঞ্চলের কৃষকরা তাদের কাঙ্ক্ষিত ফসল ঘরে তুলতে সক্ষম হবে। তথ্যনুসারে সরিষার আবাদের অগ্রগতি হয়েছে ৩৬২৭ হেক্টর জমিতে। আশা করা হচ্ছে আবহাওয়াসহ সার্বিক দিক অনুকূলে থাকলে সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা পুরোপুরি পূরণে সক্ষম হবে এ জেলার কৃষকেরা। জানা গেছে, প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র কৃষকরা এখন চরম ব্যস্ত সময় পার করছেন সেচ, সার ও কীটনাশক প্রয়োগসহ পরিচর্যা নিয়ে। ওই সকল এলাকার প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র কৃষকের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এরই মধ্যে তারা তাদের জমিতে সরিষা রোপণ শেষে এখন সেচ ব্যবস্থা, কীটনাশাক প্রয়োগসহ পরিচর্যা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

মতলব উপজেলার ফরাজী কান্দির কৃষক বেলাল জানান, আমরা কয়েকজন মিলে জমিতে সরিষা-১৪ আবাদ করেছি। বর্তমানে সরিষা ক্ষেতে ফুল ও ফল আসা শুরু করেছে। জাব পোকার আক্রমণ হতে ফসলকে রক্ষা করতে কীটনাশক প্রয়োগ করেছি। প্রতি বিঘা জমিতে ৬ মণ করে সরিষা উৎপাদন সম্ভব হবে বলে আশা করি।

চাঁদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোবারক হোসেন জানান, সরিষা মাঠে এখন ফুল ও ফলের উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে। কৃষকরা সরিষার ক্ষেতে সেচ প্রদান, সার প্রয়োগ, জাব পোকারোধে কীটনাশক প্রয়োগসহ পরিচচর্যার কাজে ব্যস্ত রয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে কৃষকরা তাদের কাঙ্ক্ষিত ফসল ঘরে তুলতে সক্ষম হবে। বপণ শেষে এখন মাঠে সরিষার ফুল ও ফলের উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে। কৃষকরা এখন সরিষা আবাদকে ঘিরে ক্ষেতে সেচ প্রদান, সার প্রয়োগ, জাব পোকা দমন রোধকল্পে কীটনাশক প্রয়োগসহ পরিচর্যা কাজে ব্যস্ত রয়েছে। অন্য বছরের তুলনায় এবার বৃষ্টিপাত বেশি থাকা এবং জলাবদ্ধতাসহ আবহাওয়া প্রতিকূলে থাকার দরুন সরিষা বপণে ব্যাঘাত ঘটেছে, তারপর আবাদ সন্তোষজনক। জেলার সরিষা আবাদ ঘিরে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত