ঢাকা ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৪ ফাল্গুন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

২১শে বইমেলা

কোথায় কি আছে মেলা প্রাঙ্গণে

কোথায় কি আছে মেলা প্রাঙ্গণে

গতকাল প্রধান উপদেষ্টা বাংলা একাডেমি চত্বর ত্যাগ করার পর সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয় মেলা প্রাঙ্গণ। দর্শনার্থীদের কেউ কেউ প্রবেশ করেন মেলার মাঠে। বিভিন্ন প্রকাশনা সংস্থার কর্মীদের দেখা যায় স্টল গোছাতে। ভাষার মাস ফেব্রুয়ারিজুড়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে চলবে মেলা। এবার প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান বেড়েছে শতাধিক, বেড়েছে আয়তনও। প্রতিদিন বিকাল ৪টায় বইমেলার মূল মঞ্চে সেমিনার ও সন্ধ্যায় থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ৮ ফেব্রুয়ারি ও ১৫ ফেব্রুয়ারি ছাড়া প্রতি শুক্র ও শনিবার মেলায় সকাল ১১টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত থাকবে ‘শিশুপ্রহর’। অমর একুশ উদযাপনের অংশ হিসেবে শিশু-কিশোর চিত্রাঙ্কন, আবৃত্তি ও সংগীত প্রতিযোগিতা থাকছে। উদ্যানে থাকবে নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা। ১ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। রাত সাড়ে ৮টার পর নতুন করে কেউ মেলা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে পারবেন না। ছুটির দিন বইমেলা চলবে বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। একুশে ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে মেলা শুরু হবে সকাল ৮টায়, চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত। মেলার কোথায় কী : বাংলা একাডেমি বলছে, এবার সামান্য কিছু পরিবর্তন ছাড়া বইমেলার বিন্যাস গতবারের মতোই রাখা হয়েছে। বিশেষ করে মেট্রোরেল স্টেশনের অবস্থানগত কারণে মেলার বের হওয়ার পথ এবার একটু সরিয়ে মন্দির গেটের কাছাকাছি নেয়া হয়েছে। টিএসসি, দোয়েল চত্বর, এমআরটি বেসিং প্ল্যান্ট এবং ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশন অংশে মোট চারটি প্রবেশ ও বের হওয়ার পথ থাকবে। খাবারের স্টলগুলো ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশনের সীমানা ঘেঁষে রাখা হয়েছে। নামাজের স্থান, ওয়াশরুমসহ অন্যান্য পরিষেবাও থাকছে। মন্দির গেটের ঠিক ডানদিকে বড় পরিসরে রাখা হয়েছে শিশু চত্বর, যাতে শিশুরা অবাধে চলতে-ফিরতে পারে।

বাংলা একাডেমি ও মেলায় অংশগ্রহণকারী অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ২৫ শতাংশ কমিশনে বই বিক্রি করবে। বাংলা একাডেমির তিনটি প্যাভিলিয়ন ও শিশুকিশোর উপযোগী প্রকাশনার জন্য একটি স্টল থাকবে। এবারের বইমেলা বাংলা একাডেমি প্রকাশ করছে নতুন ৪৩টি ও পুনর্মুদ্রিত ৪১টি বই। বইমেলার প্রবেশ ও বের হওয়ার পথে আর্চওয়ের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। মেলার সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকছে পুলিশ, র‌্যাব, আনসার ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা।

‘জুলাই চত্বর’ : ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিকে ধারণ করে শুরু হওয়া মেলায় ভাষা শহীদ ও ভাষাসংগ্রামী, মুক্তিযুদ্ধ, গণতান্ত্রিক আন্দোলন এবং জুলাই আন্দোলনে হতাহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হচ্ছে এবারের আয়োজনে। আয়োজকরা বলছেন, এবারের মেলার রং হিসেবে বেছে নেয়া হয়েছে লাল, কালো ও সাদা। বিপ্লবের প্রতীক হিসেবে লাল, শোকের প্রতীক হিসেবে কালো এবং আশার প্রদীপ হিসেবে সাদা। জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এবারের বইমেলার প্রেক্ষাপটটাও ভিন্ন। গণআন্দোলন ফুটিয়ে তুলতে বইমেলায় থাকছে ‘জুলাই চত্বর’।

ডিএমপির নির্দেশনা : বইমেলা ঘিরে বেশকিছু নির্দেশনা তুলে ধরেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বইমেলার কারণে বাংলা একাডেমি, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও আশপাশের এলাকায় রাস্তা বন্ধ অথবা রোড ডাইভারশন দেয়া হবে। ডাইভারশন পয়েন্টের মধ্যে রয়েছে- টিএসসি/রাজু ভাস্কর্য ক্রসিং, তিন নেতার মাজার ও হাকিম চত্বর। পার্কিং স্থান- সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, মুহসীন হল মাঠ, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে, ফুলার রোডে (এক লেনে) এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জিমনেশিয়াম মাঠে। শাহবাগ ক্রসিং থেকে টিএসসি হয়ে গাড়িযোগে মেলায় আগত দর্শনার্থীরা বইমেলার টিএসসি প্রবেশ গেটের সামনে নামবেন এবং গাড়ি রাজু ভাস্কর্য ইউটার্ন-লেফটটার্ন করে বইমেলা সংশ্লিষ্ট পার্কিং স্থান অথবা গন্তব্যে যাবেন। নীলক্ষেত/ভিসি বাংলো ক্রসিং হতে টিএসসি হয়ে গাড়িযোগে মেলায় আসা দর্শনার্থীরা হাকিম চত্বর নেমে হেঁটে মেলায় প্রবেশ করবেন এবং গাড়ি হাকিম চত্বর ইউটার্ন-রাইটটার্ন করে বইমেলা সংশ্লিষ্ট পার্কিং স্থান অথবা গন্তব্যে যাবেন। হাইকোর্ট ও শহিদুল্লাহ হল ক্রসিং হতে দোয়েল চত্বর ক্রসিং হয়ে বাংলা একাডেমি অভিমুখে গাড়িযোগে মেলার দর্শনার্থীরা তিন নেতার মাজারের পাশে নামবেন এবং গাড়ি ইউটার্ন করে বইমেলা সংশ্লিষ্ট পার্কিং স্থান অথবা গন্তব্যে যাবেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত