ঢাকা ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৫ ফাল্গুন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সরকারি পদে দ্বৈত নাগরিক

তদন্তের মাধ্যমে তালিকা তৈরি ও ব্যবস্থা চেয়ে আইনি নোটিশ

তদন্তের মাধ্যমে তালিকা তৈরি ও ব্যবস্থা চেয়ে আইনি নোটিশ

সাংবিধানিক ও সরকারি পদে (পাবলিক পোস্ট) থাকা দ্বৈত নাগরিকের তালিকা তদন্তের মাধ্যমে তৈরি করার পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানিয়ে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিমকোর্টের এক আইনজীবী। দ্বৈত নাগরিকদের নিয়ন্ত্রণ ও তদারকির জন্য একটি টাস্কফোর্স গঠনের অনুরোধও জানানো হয়েছে এতে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব, পররাষ্ট্রসচিব, আইনসচিব, নির্বাচন কমিশন সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান, সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর বরাবর ওই নোটিশ পাঠানো হয়। ই-মেইল ও রেজিস্ট্রি ডাকযোগে গতকাল রোববার দুপুরে আইনি নোটিশটি পাঠিয়েছেন বলে জানান নোটিশদাতা আইনজীবী মোহাম্মদ কাওছার। নোটিশে দ্বৈত নাগরিক যারা সাংবিধানিক ও সরকারি পদে আছেন, তাদের অপসারণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে দ্বৈত নাগরিক স্থানীয় নির্বাচন, সাংবিধানিক ও সরকারি পদে আসীন হওয়ার অযোগ্য হবেন- এমন ঘোষণার আরজি জানানো হয়েছে। দ্বৈত নাগরিক বা বিদেশি রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য স্বীকার করা নাগরিকদের তদারকি ও নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতিনিধি সমন্বয়ে একটি টাস্কফোর্স গঠন; টাস্কফোর্সের ছাড়পত্র ছাড়া তারা যাতে পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নিতে না পারেন, এ বিষয়ে অনুরোধ জানানো হয়েছে আইনি নোটিশে। দ্বৈত নাগরিক বা বিদেশি রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য স্বীকার করা নাগরিক সাংবিধানিক ও সরকারি পদে আসীন হওয়ার অযোগ্য ঘোষণার বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ জানানো হয়েছে নোটিশে। নোটিশে উল্লেখ করা হয়, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী, সুপ্রিমকোর্ট ও অধস্তন আদালতের বিচারক, স্থানীয় সরকারের পদগুলোর কিছু পদ শুধু সাংবিধানিক বা সরকারি পদ (পাবলিক পোস্ট) নয়; বরং সিটি করপোরেশনের মেয়র, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র, ব্যাংকিং কোম্পনির ব্যবস্থাপনা কমিটি, অ্যাটর্নি জেনারেল, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল, পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি), গভর্নমেন্ট প্লিডার (সরকারি আইনজীবী), নির্বাচন কমিশন কার্যালয় এবং অন্য পদগুলো ১৮৬০ সালের দণ্ডবিধির ২১ ধারার অধীন প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে গণ্য হবে। দ্বৈত নাগরিক সিটি করপোরেশনের মেয়রসহ উল্লিখিত পদের জন্য অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন উল্লেখ করে নোটিশদাতা আইনজীবী মোহাম্মদ কাওছার বলেন, দ্বৈত নাগরিক যারা বর্তমানে সাংবিধানিক ও সরকারি পদে আসীন আছেন, তাদের বিরুদ্ধে সাত দিনের মধ্যে ব্যবস্থা নিতে নোটিশগ্রহীতাদের অনুরোধ জানানো হয়েছে। তা না হলে প্রয়োজনীয় প্রতিকারের জন্য হাইকোর্টে মামলা করা হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত