চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ২০৫ জন নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। এরমধ্যে ৮৫ জন কন্যাশিশু ও ১২০ জন নারী ছিলেন বলে জানান সংগঠনটি।
গত রোববার বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় লিগ্যাল এইড উপ-পরিষদে সংরক্ষিত ১৬টি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয় বলে জানানো হয়।
চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৬৭ জন জানিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, এর মধ্যে ১৪ জন কন্যাশিশুসহ ২০ জন দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে। একজন কন্যাশিশুসহ দুজনকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া দুজনকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে।
যৌন নিপীড়নের শিকার ৮ জনের মধ্যে ৪ জন কন্যাশিশু উল্লেখ করে প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, উত্ত্যক্তের শিকার হয়েছে তিন জন, এর মধ্যে একজন কন্যাশিশু। দুজনের এসিড দগ্ধের কারণে মৃত্যু হয়েছে। একজনের অগ্নিদগ্ধের কারণে মৃত্যু হয়েছে। যৌতুকের কারণে নির্যাতনের শিকার হয়েছে দুজন। শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে মোট ২১ জন। এর মধ্যে দুজন কন্যাশিশু। দুজন গৃহকর্মী নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে একজন গৃহকর্মীর হত্যার ঘটনাও ঘটেছে। বিভিন্ন কারণে ১১ জন কন্যাশিশুসহ ৪৯ জনকে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন কারণে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে একজনকে। সাতজন কন্যাশিশুসহ ২৫ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। সাতজন কন্যাসহ ১৩ জন আত্মহত্যা করেছে, এর মধ্যে একজন আত্মহত্যার প্ররোচনার শিকার হয়েছে। পিতৃত্বের দাবির ঘটনা ঘটেছে একটি। তিনজন কন্যাসহ পাঁচজন অপহরণের শিকার হয়েছে বলেও প্রতিবেদনে জানানো হয়।
এ মাসে সাত কন্যা অপহরণের চেষ্টার শিকার হয়েছে জানিয়ে প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, একজন কন্যাশিশুসহ দুজন সাইবার অপরাধের শিকার হয়েছে। বাল্যবিবাহের ঘটনা ঘটেছে দুটি। বাল্যবিবাহের চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে তিনটি। এছাড়া দুজন কন্যাসহ সাতজন বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছে।