ঢাকা ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৪ ফাল্গুন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

আদালতের নিরাপত্তায় ‘জুডিশিয়াল সিকিউরিটি ফোর্সেস’ গঠনে নোটিশ

আদালতের নিরাপত্তায় ‘জুডিশিয়াল সিকিউরিটি ফোর্সেস’ গঠনে নোটিশ

সুপ্রিমকোর্ট ও অধস্তন কোর্টগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী ‘জুডিশিয়াল সিকিউরিটি ফোর্সেস’ গঠনের দাবিতে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। গতকাল রেজিস্ট্রি ডাকযোগে সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী মো. মাহমুদুল হাসান এ নোটিশ পাঠান। নোটিশে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব ও সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে বিবাদী করা হয়েছে। নোটিশে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রের মৌলিক স্তম্ভ তিনটি যথা, আইন বিভাগ, শাসন বিভাগ ও বিচার বিভাগ। রাষ্ট্রের শাসন বিভাগের মৌলিক নিরাপত্তা বাহিনী হলো পুলিশ। এই পুলিশ রাষ্ট্রের শাসন বিভাগের অংশ হলেও, শাসন বিভাগের কর্তাব্যক্তিরা তাদের নিরাপত্তার জন্য পুলিশের ওপর আস্থাশীল নয়। ফলশ্রুতিতে শাসন বিভাগের কর্তাব্যক্তিরা তাদের নিরাপত্তার জন্য ‘স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সেস’ (এসএসএফ) গঠন করেছে। আইনি নোটিশে আরো বলা হয়েছে, আমাদের বিচার বিভাগের নিরাপত্তা মূলত পুলিশের ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু পুলিশ আমাদের বিচারবিভাগের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে। ২০২৩ সালের অক্টোবরে কিছু দুষ্কৃতকারীরা মাননীয় প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ও জাজেস কমপ্লেক্সের প্রবেশদ্বারে হামলা চালায় । এছাড়া জুলাই-আগস্ট ২০২৪-এর সময় বহুদিন বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্ট ও নিম্ন আদালতগুলো পুরোপুরি অরক্ষিত ছিল। এ সময়ে মাননীয় প্রধান বিচারপতির বাসভবন লুট করা হয়েছে। এছাড়া সুপ্রিমকোর্টের অন্যান্য বিচারপতিরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ছিল এবং জীবনের ঝুঁকির আশঙ্কায় ছিলেন। উক্ত সময়ে দেশের নিম্ন আদালতগুলোও পুরোপুরি অরক্ষিত ছিল এবং নিম্ন আদালতের বিজ্ঞ জজ ও বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেটগণ চরম নিরাপত্তাহীনতায় ছিলেন। নোটিশে বলা হয়েছে, দেশের শাসন বিভাগের কর্তাব্যক্তিরা তাদের নিরাপত্তার জন্য ‘স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সেস’ (এসএসএফ) গঠন করেছে, সেজন্য সরকারের কাছে বিচার বিভাগের বৈধ প্রত্যাশা রয়েছে যে, সরকার বিচার বিভাগের সুরক্ষার জন্য ‘জুডিশিয়াল সিকিউরিটি ফোর্সেস’ গঠন করবেন। উক্ত ‘জুডিশিয়াল সিকিউরিটি ফোর্সেস’কে অবশ্যই প্রধান বিচারপতির অধীনে থাকতে হবে। এই জুডিশিয়াল সিকিউরিটি ফোর্সেস বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্ট ও অধস্তন কোর্টগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। এছাড়া সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতিগণের বাসভবন ও অধস্তন আদালতগুলোর বিজ্ঞ জজ ও বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেটগণের বাসভবনের নিরাপত্তা বিধান করবে। আইনি নোটিশ পাওয়ার ১৫ (পনেরো) দিনের মধ্যে সুপ্রিমকোর্ট ও অধস্তন কোর্টগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী ‘জুডিশিয়াল সিকিউরিটি ফোর্সেস’ ঠনের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানানো হয়েছে অন্যথায় এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করা হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত